Archives জুন ২০২৪

চাটখিল বাজারে চুরি-ছিনতাই বেড়েই চলছে

চাটখিল বাজারে চুরি-ছিনতাই বেড়েই চলছে

নোয়াখালীর চাটখিল পৌর বাজারে চুরি-ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদকের উৎপাত অব্যাহত ভাবে বেড়েই চলছে। শুক্রবার রাতে পৌর বাজারের টপ লেডিস, পূর্বালী স্টোর, রানী কসমেটিক সহ ৪টি দোকান চুরি করে ৩ লক্ষাধিক টাকার মালামাল ও নগদ টাকা নিয়ে গেছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা দাবি করেন। এর দুদিন আগে পৌর বাজারের নিউমার্কেটের ১০টি দোকানের মালামাল একরাতে চুরি হয়। এতে ১০/১৫ লাখ টাকার মালামাল ও নগদ টাকা চুরি করে নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ চোর চক্র। 

দুই মাসের মাথায় অন্তত্য ১০/১৫টি চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেও প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এক মার্কেটের ১০টি দোকান একরাতে চুরি করতে দুই-আড়াই ঘন্টা সময়ের প্রয়োজন এই দীর্ঘ সময়ধরে বাজারের নৈশ প্রহরীরা কার নির্দেশে অনুপস্থিত থেকে চোরদের কে চুরি করার সুযোগ করে দিয়েছে। এসব চুরির ঘটনায় পৌর কর্তৃপক্ষের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। 

চাটখিল পৌর বাজারের টপ লেডিস স্টোরের মালিক ইব্রাহিম খলিল পরাণ তার প্রতিষ্ঠানে ২ মাসের মাথায় ২বার চুরির ঘটনায় ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এসময় তিনি চাটখিল বাজারে সৌর বিদ্যুতের লাইট স্থাপনের দাবি জানান। ইব্রাহিম খলিল পরাণের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, চুরির ঘটনা পৌর মেয়র মো. নিজাম উদ্দিন কে জানালে মেয়র ঢাকায় আছেন জানিয়ে বলেন, তিনি এলাকায় আসলে এবিষয়ে কথা বলবেন। পরে থানার ওসি মুহাম্মদ ইমদাদুল হক ব্যবসায়ীদের থানায় গিয়ে কথা বলতে বলেছেন।

চাটখিল থানার ওসি মুহাম্মদ ইমদাদুল হক শনিবার (২২ জুন) দুপুরে চুরির কথা স্বীকার করে বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষ নৈশ প্রহরীদের যথাযথভাবে মনিটরিং করতে পারলে চুরির ঘটনা কমে আসবে। পাশাপাশি বাজারে বিদ্যুৎ না থাকলে বাজার অন্ধকার হয়ে যায়। এতে চোরেরা চুরি করার সুযোগ পায়। তাই পৌর কর্তৃপক্ষ বাজারে সৌর বিদ্যুৎ লাইট স্থাপন করলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরাল হবে। তিনি প্রয়োজন সাপেক্ষে টহল পুলিশের সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর আশ্বাস দেন।

আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী: গৌরবময় সাফল্যের স্বর্ণালী ইতিহাস

আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী: গৌরবময় সাফল্যের স্বর্ণালী ইতিহাস

১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে। শাসকদল মুসলিম লীগ ছিল সাম্প্রদায়িক। ফলে পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিবেশও অনেকটা সাম্প্রদায়িক চেহারা পায়। এমনকি বিরোধী রাজনৈতিক ও ছাত্রসংগঠনেও পড়ে সাম্প্রদায়িকতার ছায়া।

কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানের সচেতন তারুণ্য ধর্মভিত্তিক রাজনীতির কৃত্রিম খোলসে মুখ ঢাকা রাখতে বেশিদিন রাজি থাকেনি। তাদের উদ্যোগে পঞ্চাশের দশকের মধ্যভাগে প্রথমে ছাত্রলীগ, পরে আওয়ামী লীগ অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়। পশ্চিম পাকিস্তানেও আওয়ামী লীগের শাখা গঠিত হয়। ফলে গোটা পাকিস্তানেই আওয়ামী লীগ একমাত্র বড় জাতীয় রাজনৈতিক সংগঠনে পরিণত হয়। গাঙ্গেয় বদ্বীপ অঞ্চলের একই ভূ-খণ্ড নিয়ে গঠিত এই রাষ্ট্র দুটির একটি ‘পূর্ব পাকিস্তান’ অন্যটি ‘বাংলাদেশ’। এ কথা সর্বজনবিদিত যে, পাকিস্তান নামক ঔপনিবেশিক ধরনের কৃত্রিম রাষ্ট্রের নিগড়ে বাঁধা বাঙালি জাতি তার নিজস্ব একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে থেকে ভাষা-সংগ্রাম, স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধিকারের জন্য ১৯৭১ সালের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের ভেতর দিয়ে একদিকে এই ভূ-খণ্ডে পাকিস্তানের কবর রচনা করে, অন্যদিকে বাঙালির নিজস্ব প্রথম জাতি-রাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে। এই সংগ্রাম ও যুদ্ধে বাঙালি জাতিকে নেতৃত্ব প্রদান করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন জনকল্যাণের ব্রত নিয়ে ঢাকার রোজ গার্ডেনে যে দলটির আত্মপ্রকাশ, দুই যুগেরও কম সময়ের ব্যবধানে, ১৯৭১ সালে সেই দলটির নেতৃত্বেই স্বাধীন হয় বাংলাদেশ।
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার রোজ গার্ডেনে জন্মকালে যে দলটির নাম ছিল আওয়ামী মুসলিম লীগ, সেই দলটিই আজকের আওয়ামী লীগ। প্রথম কমিটিতে সভাপতি ছিলেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। সাধারণ সম্পাদক ছিলেন টাঙ্গাইলের শামসুল হক। যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন সে সময়ের তরুণ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে সে সময়ের কথা উল্লেখ আছে।

যখন ঢাকার রোজ গার্ডেনে দলের গোড়াপত্তন হচ্ছে, তরুণ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান তখন কারাগারে।

তরুণ শেখ মুজিব যে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের কথা ভেবেছিলেন, তা কার্যকর হতে খুব বেশিদিন লাগেনি। ১৯৪৯ সালে গঠিত পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ পরবর্তীকালে নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে দলের নেতৃত্ব দলকে একটি অসাম্প্রদায়িক দলে রূপান্তর করে। তখন এটি ছিল একটি সাহসী সিদ্ধান্ত।

১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দের ৫ই ডিসেম্বর শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক জনসভায় শেখ মুজিব পূর্ব পাকিস্তানকে “বাংলাদেশ” নামে নামকরণের ঘোষণা দেন।
১৯৫২ সালে ভাষা সংগ্রামের পথ বেয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়-আওয়ামী লীগের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গৌরবগাঁথা, বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন। আওয়ামী লীগের আনুষ্ঠানিক আত্ম প্রকাশ তৎকালীন পূর্ব বাংলা তথা পাকিস্তানের রাজনীতির দৃশ্যপট বদলের ও সূচনালগ্ন হিসেবে চিহ্নিত। আওয়ামী লীগের জন্ম ছিল পাকিস্তানের ঔপনিবেশিক ধরনের শাসন শোষণ এবং মুসলিম লীগের সাম্প্রদায়িক-স্বৈরতান্ত্রিক রাজনীতির অবসানের অনিবার্যতার ফল।

স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় কেবল নয়, একটি আত্মমর্যাদাশীল অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক এবং উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলাই ছিল আওয়ামী লীগের অঙ্গীকার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী ও এইচএম কামরুজ্জামান তাদের জীবন দিয়ে এসই অঙ্গীকারের মূল্য পরিশোধ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তির প্রতিশোধ গ্রহণের সেই ষড়যন্ত্র ৭৫’ এর ট্র্যাজিডি সৃষ্টি করে। তা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতির পিতার অঙ্গীকার ও স্বপ্ন জয়ের পথে অকুতোভয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন মধ্য আয়ের দেশ।

দীর্ঘ পথপরিক্রমায় অনেক চড়াই-উতরাই পার হয়ে আসতে হয়েছে আওয়ামী লীগকে। আদর্শবাদী, উদারনৈতিক এই রাজনৈতিক দলটির অস্তিত্ব বিনাশের চেষ্টাও হয়েছে। দলের ভেতরের কোন্দলও অনেক সময় মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চেয়েছে; কিন্তু আলোর পথযাত্রী আওয়ামী লীগ সব বাধা-বিপত্তি মাড়িয়ে এগিয়ে গেছে। ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের এক বিশেষ কাউন্সিল অধিবেশনে প্রবাসে নির্বাসিত জীবনযাপনকারী শেখ হাসিনাকে সর্বসম্মতভাবে দলের সভাপতি নির্বাচন করা হয়। সেই বছরের ১৭ মে শেখ হাসিনা দেশের এক ক্রান্তিকালে দেশে ফেরেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা মাত্র ৩৪ বছর বয়সে ১৯৮১ সালে সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে একটানা ৪৩ বছর দলটির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ১৯৯৬ সালে তাঁর নেতৃত্বে ২১ বছর পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের ম্যান্ডেট পায়। খুব কম দেশেই একটি দল ২১ বছর ক্ষমতার বাইরে থেকে ক্ষমতায় ফিরতে সক্ষম হয়েছে। ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮, ২০২৩ টানা চারবার জনগণের ম্যান্ডেট পায় আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগে মুজিব যুগই হচ্ছে সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল যুগ। তিনি অসাম্প্রদায়িক বাঙালি জাতীয়তাবাদ প্রচার করেন। ঘোষণা করেন পূর্ব পাকিস্তান নয়, এই ভূখণ্ডের নাম বাংলাদেশ। আমরা হাজার বছর ধারে বাঙালি। আমাদের পরিচয় হবে বাঙালি। বড় ঢেউ তোলে বাংলাদেশে বাঙালি জাতীয়তাবাদ। বাঙালির যে হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তার মিল দেখা যায় অসাম্প্রদায়িক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও সভ্যতার সঙ্গে। বাংলাদেশে সেই ঐতিহ্য ধারণ করেন শেখ মুজিব এবং সেই জাতীয়তার বাহক হয়ে দাঁড়ায় আওয়ামী লীগ।

মুজিব যুগের আওয়ামী লীগ আন্তর্জাতিক সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়। আওয়ামী লীগে বড় ধরনের রূপান্তর ঘটে।

বঙ্গবন্ধু অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছেন। দেশের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব করে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন শোষিতের গণতন্ত্র। সেই অসাম্প্রদায়িক উন্নত বাংলাদেশ গড়ার পাশাপাশি দেশের মানুষের সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কোনো বিকল্প নেই। আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জাতির পিতার স্নেহধন্য, ত্যাগী ও নিবেদিত প্রাণ, ভাষা সৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থানা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ কৃষক লীগের প্রাক্তন সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল জব্বার কে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি।

উপমহাদেশের প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ সম্পর্কে বলা চলে, এই দলটির ইতিহাসই হচ্ছে বাংলাদেশের গত ৭৫ বছরের রাজনৈতিক ও সামাজিক ইতিহাস। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকেই বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাস যাঁরা পাঠ করবেন, তাঁদের জন্য বাংলাদেশের ইতিহাস পাঠ করা তেমন দরকার হবে না। জনগণের জন্য, জনগণ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এই দলটির প্রতি এখনো জনগণের অবিচল আস্থা রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দলটির অসাম্প্রদায়িক অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাক। ৭৫ বছর পূর্ণ করলেও আওয়ামী লীগ তার তারুণ্য হারায়নি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, যুগান্তরের লক্ষ্য ও কর্মসূচি এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই তিনটি রক্ষাকবচের জোরেই আওয়ামী লীগ নতুন প্রাণ পাবে। আওয়ামী লীগের ইতিহাস অপরাজেয়।

প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ধর্মনিরপেক্ষ-অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি, শোষণমুক্ত সাম্যের সমাজ গঠনের আদর্শ এবং একটি উন্নত সমৃদ্ধ আধুনিক, প্রগতিশীল সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা বিনির্মাণের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দর্শনের ভিত্তি রচনা করে আওয়ামী লীগ। যার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৫৫ সালের কাউন্সিলে অসাম্প্রদায়িক নীতি গ্রহণের মাধ্যমে সংগঠনটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ’।
আওয়ামী লীগ শুধু এ দেশের প্রাচীন ও সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠনই নয়, বাংলাদেশের রাজনীতির মূলধারাও। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইতিহাস একসূত্রে গাঁথা। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ভাষা সংগ্রামের পথ ধরে ৬৬ সালে ৬ দফা, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানসহ দীর্ঘ সংগ্রামের পর ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করে বাঙালি জাতি। পৃথিবীর মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাসহ বাঙালি জাতির যা কিছু শ্রেষ্ঠ অর্জন, তার মূলে রয়েছে জনগণের এই প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব। জন্মলগ্ন থেকে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শক্তির উৎস জনগণ এবং সংগঠনের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

৭৫ বছরের পথপরিক্রমায় দেশের বৃহত্তম ও প্রাচীন রাজনৈতিক দলটিকে অনেক চড়াই-উতরাই পেরোতে হয়েছে। স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর অনেকটা অস্তিত্ব সংকটে পড়ে দলটি। আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার চতুর্মুখী ষড়যন্ত্র করা হয়। দলের ভেতরেও শুরু হয় ভাঙন।

১৯৮১ সালে জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের হাল ধরেন শক্ত হাতে এবং তাঁর সাহসী নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সংকট কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয় এবং বারবার ঘুরে দাঁড়ায়।

গণতন্ত্র, ভাষা সংগ্রাম, স্বাধিকার আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়, মুক্তিযুদ্ধ-উত্তর জাতীয় পুনর্গঠন, বঙ্গবন্ধু-কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের মহাসড়কে উত্তরণ, দারিদ্র্য বিমোচন, দেশকে মধ্যম আয়ের দেশ তথা উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করা, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা, নারীর ক্ষমতায়ন, সমুদ্র বিজয়, ল্যান্ড বাউন্ডারি…….. মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, খাদ্যে আত্মনির্ভরশীলতা, বিদ্যুৎ উৎপাদনে ২১ হাজার মেগাওয়াটের লক্ষ্য অর্জন, নিজস্ব অর্থে পদ্মাসেতু নির্মাণ, ঢাকা মেট্রোরেল, চট্টগ্রামে কর্ণফুলি নদীতে সুড়ঙ্গ পথ নির্মাণ, পায়রা সমুদ্রবন্দর নির্মাণ, ঈশ্বরদীতে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ সফলভাবে কোভিড মহামারি মোকাবেলা ও দ্রুত সময়ে টিকাদান সম্পন্ন এবং ক্রীড়া ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান অর্জন প্রভৃতি উল্লেখ করলেও আওয়ামী লীগের অর্জনের কথা শেষ হবে না এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল।

বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও আওয়ামী লীগের জয়যাত্রা অব্যাহত থাকুক। আমরা শুধু একটি কথাই বলব, তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সুখে-দুঃখে, বিপদে আপদে সর্বদা দেশবাসীর পাশে আছে এবং থাকবে। অপ্রতিরোধ্য আওয়ামী লীগ কেবল অতীত বর্তমান নয়, বাংলাদেশের ভবিষ্যতের নির্মাতা। আওয়ামী লীগ চিরজীবী হোক।

লেখক- মোহাম্মদ আবু জাফর রাজু , প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-২

প্রথম কেন্দ্রীয় চরিত্রে আর এ রাহুল

এ সময়ের অভিনেতা আর এ রাহুল। ইতিমধ্যে বেশকিছু সিনেমা সহ অসংখ্য টিভি নাটক, সিরিয়াল, ওয়েব সিরিজ ও ওয়েব ফিল্মে প্বার্শ চরিত্রে অভিন করে দর্শকদের মন জয় করেছেন তিনি। প্বার্শ চরিত্রে অভিনয় করলেও প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেননি কখনো।

আর এ রাহুল
আর এ রাহুল

তবে এবার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। সম্প্রতি ইয়াসির আরাফাত’র পরিচালনায় কমেডি নাটক ‘বিয়ের বয়স’ এ প্রধান চরিত্রে দেখা যাবে‌ তাকে। নাট্যকার পাপ্পু রাজের সংলাপ ও চিত্রনাট্যে ‘বিয়ের বয়স’ নাটকটির চিত্রগ্রাহক ছিলেন অনিক দাস।

আর এ রাহুল ছাড়াও নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন সামিহা আক্তার, ফারুক আহমেদ, হারুন বান্টি, সীমান্ত আহমেদ, নাছরিন সুলতানা, নাজিম হামিদ, স্বর্ণা মনি, সাবিহা, জান্নাত, মীম, বকুল, নোমান, কামাল রায়হান, রিপনসহ আরো অনেকে।

আর এ রাহুল
আর এ রাহুল

নাটকের গল্পে দেখা যায় নববধূর সাজে শিউলি, দেখতে নায়িকার মতো ! এমন অপরূপ সুন্দরী পাওয়া যাবে না আশে পাশের দশ গ্রাম ঘুরে ! বদর উদ্দিন আলাল মাইকিং করে গ্রামবাসীকে জানাচ্ছে যে, এত দিন তার সাথে করা মশকরার জবাব হিসেবে বিয়ে করে নিয়ে এসেছে এমন সুন্দরী বউ। আলালের বন্ধু সীমান্তসহ গ্রামের অনেকেই চ্যালেঞ্জ করেছিল আলাল জীবনেও বিয়ে করতে পারবে না কিন্তু সেই চ্যালেঞ্জে জিতে আলাল বউ নিয়ে গ্রামে ফিরেছে! এভাবেই এগিয়ে যাবে গল্প।

নাটকটি শীঘ্রই ইউটিউবে সম্প্রচারে আসবে।

কাজী সাইফ আহমেদ’র পরিচালনায় ‘গ্রেট টাউট’

কাজী সাইফ আহমেদ'র পরিচালনায় ‘গ্রেট টাউট’

নির্মাতা কাজী সাইফ আহমেদ’র পরিচালনায় ঈদে আসছে ‘গ্রেট টাউট’।‌ নাটকটি রচনা করেছেন এন. ডি. আকাশ। এতে অভিনয় করেছেন, আশরাফ সুপ্ত, ইমু শিকদার, সিয়াম নাসির, জুলফিকার চঞ্চল সহ আরও অনেকে।

নাটকের গল্পে দেখা যাবে, হাসেম গ্রামের একটা টাউট প্রকৃতির ছেলে। গ্রামের মানুষ সবাই জানে সে শহরে বড় চাকুরী করে। হাসেমের বাবা হালিম মিয়াও জানে ছেলে শহরে বড় চাকুরী করে। গ্রামের শিক্ষিতা, সুন্দরী মেয়ে কবিতা বড় চাকুরী করে বলে হাসেমের সাথে সম্পর্ক করে। গ্রামের আরেকটি ছেলে সাজ্জাদও কবিতাকে পছন্দ করে। কিন্তু কবিতা সাজ্জাদকে পাত্তা দেয় না। একটা সময় দেখা যায় হাসেম শহরে বড় চাকুরী করে না, সে আসলে রিক্সা চালায়। চাকুরী করার নাম বলে সে সবার সাথে প্রতারনা করে। নাটকের গল্প এভাবে এগিয়ে যাবে।

নাটকটি ঈদের ৭ম দিন রাত ১১.৩০ টায় এটিএন বাংলাতে প্রচার হবে। নাটকটি প্রযোজনা করেছেন প্রিয়ন্তী।

চাটখিলে একতা ক্লাবের উদ্যোগে ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

চাটখিলে একতা ক্লাবের উদ্যোগে ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

নোয়াখালী চাটখিল উপজেলার রমাপুর-বক্তারপুর-গোবিন্দপুর রাবেয়া সুপার মার্কেট একতা ক্লাবের আয়োজনে ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা বুধবার (১৯ জুন) বিকেলে স্থানীয় মসজিদ সংলগ্ন মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।

খেলা ১-০ গোলে কিরণ ভূঁইয়া একাদশ কে পরাজিত করে সোহাগ একাদশ টিম চ্যাম্পিয়ান হয়। 

আয়োজিত খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিল্পপতি দানবীর আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইউসুফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ৭নং হাটপুকুরিয়া-ঘাটলাবাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস.এম বাকী বিল্লাহ ও চাটখিল পৌর সভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সালেহ আহমেদ সুমন ও সাবেক কাউন্সিলর মমিনুল ইসলাম দুলাল। অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক মো. দুলাল, উদীয়মান সমাজ সেবক কাউছার আহম্মেদ কাজল, আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান (মিজান) প্রমুখ।

খেলা শুরুর আগে উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শিল্পপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, যুব সমাজ কে মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা করতে সামাজিক সংগঠন গুলোর উদ্যোগে সুস্থ বিনোদনের অংশ হিসেবে খেলাধুলার আয়োজনের বিকল্প নেই। আজকের যুব সমাজ আগামী দিনের জাতিকে নেতৃত্ব দিবে। তাই এই প্রজন্ম কে মেধা বিকাশে ও শারীরিক গঠনে যোগ্য করে তুলতে নানামূখী কর্মসূচি পালন করতে একতা ক্লাবকে উৎসাহিত করেন। এসময় তিনি ফুটবল খেলার উদ্যোগ গ্রহন করায় মো. দুলাল কোম্পানীকে ধন্যবাদ জানিয়ে একতা ক্লাবের কর্মকান্ডে আরো অধিক সহযোগিতা করার ঘোষণা দেন। 

এবারের ঈদে যে তারকাদের সিনেমা আসছে

এবারের ঈদে যে তারকাদের সিনেমা আসছে

ঈদে সরব হয়ে ওঠে দেশের সিনেমা। ফলে, প্রতিটি ঈদ মানেই নতুন সিনেমা। হলগুলোও যেন প্রাণ ফিরে পায়।বছরের অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে ঈদে বেশি সিনেমা মুক্তি পায়। পর্দায় দেখা মেলে অনেক তারকার।

ঈদ মানেই যেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়ক মেগাস্টার শাকিব খানের সিনেমা। এবারও শাকিব ভক্তরা পর্দায় দেখতে পাবেন শাকিব অভিনীত ‘তুফান’ সিনেমা। এই সিনেমায় শাকিব খানের সঙ্গে আছেন চঞ্চল চৌধুরী ও মিমি চক্রবর্তী। টিজার এবং ট্রেইলার দেখে স্পষ্ট বোঝাই যাচ্ছে খলঅভিনেতা হিসেবে শাকিবের সঙ্গে লড়বেন চঞ্চল চৌধুরী। দুই গুনি অভিনেতা যখন রূপালী পর্দায় পাঞ্জা লড়বেন তা যেন ভাবতেই অবাক লাগছে দর্শকদের। শাকিবের পরেই চঞ্চল চৌধুরীর অভিনয় দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন দর্শক। ট্রেইলারেও যেন এক অন্য চঞ্চল চৌধুরীকে দেখতে পেরেছে দর্শক।

চঞ্চল চৌধুরী
চঞ্চল চৌধুরী

এরই মধ্যে‌ নির্মাতা রায়হান রাফি’র ‘তুফান’ সিনেমার গান ও‌ ট্রেইলার মুক্তিতে সিনেমাটির প্রতি দেশ-বিদেশের সব ধরনের দর্শকের আগ্রহ বেড়েছে কয়েক গুণ। গ্যাংস্টারের কাহিনি নিয়েই এগিয়ে যাবে তুফানের গল্প। নব্বই দশকের একজন গ্যাংস্টারের ভূমিকায় দেখা যাবে শাকিব খানকে। এই প্রথম ঈদে রূপালী পর্দায় শাকিব ও মিমি চক্রবর্তীকে দেখা যাবে।

মিশা সওদাগর
মিশা সওদাগর

বাংলা সিনেমা মানেই খলনায়ক মিশা সওদাগর। প্রতি ঈদেই তার দেখা মেলে। এবারও তার কোন ব্যতিক্রম নয়। এবারের ঈদের পাঁচ সিনেমার মধ্যে তিনটি সিনেমাতেই তাকে দেখা যাবে। এরমধ্যে একটি রায়হান রাফি’র ‘তুফান’, দ্বিতীয়টি মোহাম্মদ ইকবাল পরিচালিত ‘রিভেঞ্জ’ অন্যটি মুস্তাফিজুর রহমান মানিক’র ‘ডার্ক ওয়ার্ল্ড’।

শবনম বুবলী
শবনম বুবলী

ঈদে একটি সিনেমা নিয়ে প্রেক্ষাগৃহে হাজির থাকবেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। টানা কয়েক ঈদেই তার অভিনীত সিনেমা মুক্তি পাওয়ায় বেশ ফর্মে রয়েছেন এ নায়িকা। চলতি বছর ঈদুল ফিতরে মুক্তি পেয়েছিল ‘দেয়ালের দেশ’ ও ‘মায়া’ নামে দুটি সিনেমা। গত বছর দুই ঈদে মুক্তি পায় বুবলীর চার সিনেমা। প্রায় প্রত্যেক ঈদেই একাধিক সিনেমা নিয়ে হাজির হচ্ছেন তিনি। বরাবরই ঈদে প্রেক্ষাগৃহ নিজের দখলেই রেখেছেন এ নায়িকা। জিয়াউল রোশানের সঙ্গে জুটি বেঁধে বুবলী কাজ করেছেন ‘রিভেঞ্জ’ নামে একটি সিনেমায়। এটি পরিচালনা করেছেন মোহাম্মদ ইকবাল। ঈদে সিনেমাটি মুক্তির জন্য প্রস্তুত। মুক্তির নিশ্চয়তা দিয়েছেন নির্মাতা।

এবারের ঈদে দেশি তারকা ছাড়াও রয়েছে ওপার বাংলার তারকা। বলছি, টালিউড নায়িকা মিমি চক্রবর্তী ও কৌশানি মুখার্জির কথা। কৌশানির ‘ডার্ক ওয়ার্ল্ড’ ও মিমি চক্রবর্তীর ‘তুফান’ ঈদুল আজহায় মুক্তি পাচ্ছে প্রেক্ষাগৃহে। মিমি চক্রবর্তীর ঢাকায় প্রথম সিনেমা ‘তুফান’। এবার ভাগ বসাচ্ছেন একই ইন্ডাস্ট্রির ‘ডার্ক ওয়ার্ল্ড’ নায়িকা কৌশানী মুখার্জি।

এবারের ঈদে রূপালী পর্দায় হাজির হচ্ছেন পূজা চেরি। পূজা চেরি অভিনীত মুক্তির অপেক্ষায় থাকা ‘আগন্তুক’ এ পূজার সঙ্গে জুটি বেধেছেন শ্যামল মাওলা। এটি নির্মাণ করেছেন সুমন ধর।

জিয়াউল রোশান
জিয়াউল রোশান

ঈদুল আযহায় বড় পর্দায় দেখা মিলবে জিয়াউল রোশান’র। গত কয়েক বছর ধরে ঈদে তাকেও দেখা যাচ্ছে সিনেমায়। এই ঈদে মোহাম্মদ ইকবাল পরিচালিত অ্যাকশনধর্মী সিনেমা ‘রিভেঞ্জ’-এ রূপালী পর্দায় দর্শক দেখতে পাবে রোশানকে। রোশানের সঙ্গে পুলিশ চরিত্রে অভিনয় করেছেন শবনম বুবলী।

ববি হক
ববি হক

দেশীয় চলচ্চিত্রের গ্ল্যামারাস অভিনেত্রী ইয়ামিন হক ববি। দীর্ঘদিন পর এবারের ঈদুল আযহায় নতুন সিনেমা নিয়ে হাজির হচ্ছেন তিনি। সিনেমার নাম ময়ূরাক্ষী। এটি পরিচালনা করেছেন রাশিদ পলাশ। প্রেম ও প্রতারণার গল্পের এই চলচ্চিত্রটি একটি সত্য ঘটনার ছায়া অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে।

অলিক পিহান’র ‘হতাশা’

অলিক পিহান'র ‘হতাশা’য় দেলোয়ার উদ্দিন

“পাপ বাপ কেও ছাড়ে না” এই কথাটির বাস্তব চিত্র ফুটে উঠবে ‘হতাশা’ শিরোনামের ডকু ড্রামার মাধ্যমে। নিজের লেখা ও গল্পে সমাজের বাস্তব চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন পরিচালক অলিক পিহান।

এই ডকু ড্রামায় অভিনয় করেছেন মহিউদ্দিন সাবেত, রিজভী রাজ, দেলোয়ার উদ্দিন সহ প্রমুখ। ডকু ড্রামার ভিডিও নির্মাণ করেছেন সি এম মামুন। এতে প্রধান সহকারী পরিচালক ছিলেন শাহরিয়ার আর সংকেত। এটি বাবা দিবসে ‘মানচিত্র ২’ ইউটিউব চ্যানেলের ব্যানারে দেখা যাবে।

গল্পে দেখা যাবে, উচ্চ শিক্ষিত বেকার দুই যুবক মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান ঢাকার মেস জিবন কাটানো দুই বন্ধু চাকরির জন্য হন্যে হয়ে খুজে এক পর্যায়ে ক্লান্ত হয়ে অপরাধ জগতে প্রবেশ করেন। এইদিকে বেকার সাবেতের বাবা দেলোয়ার উদ্দিনের একটি কিডনি নষ্ট হয়ে যায়। টাকার অভাবে সাবেত তার বাবার চিকিৎসা সঠিকভাবে করতে পারছিল না। দিনের পর দিন হতাশায় মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিল। এক পর্যায়ে বন্ধু রিজভী তাকে আশার আলো দেখায়। তার বাবা-র চিকিৎসা সঠিক সময়ে ও সুন্দর ভাবে হবে বলে আস্বস্ত করেন। এভাবেই এগিয়ে যায় গল্প।

উল্লেখ্য, গল্পটি বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে অংশগ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন নির্মাতা।

ঈদে মুক্তির অপেক্ষায় পাঁচ সিনেমা

ঈদে মুক্তির অপেক্ষায় পাঁচ সিনেমা

বরাবরই ঈদে সিনেমা মুক্তি নিয়ে নির্মাতা, প্রযোজক ও কলাকুশলীদের মধ্যে বেশ উৎসাহ দেখা যায়। গত দুই ঈদে সিনেমা মুক্তির সময় সেটিই দেখা গেছে। দুই ঈদেই ডজনের মতো সিনেমা মুক্তি পায়। যেটি দেশীয় সিনেমায় বেশ কয়েক বছরের রেকর্ড ভাঙ্গে। আর ক-দিন পরেই ঈদুল আজহা। চলচ্চিত্রপাড়ায় এখন চলছে সিনেমা মুক্তির শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। প্রচারণায় ব্যস্ত সিনেমার কলাকুশলীরা।

সারা বছর বন্ধ থাকা হলগুলো খুলছে ঈদে। নতুন সিনেমাকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত হলগুলো। প্রথম দিকে প্রায় ডজন খানেক সিনেমার হাঁক-ডাক শোনা গেলেও অবশেষে এবারের ঈদুল আজহায় মুক্তির অপেক্ষায় আছে পাঁচটি সিনেমা। সংখ্যায় কম হলেও মানের দিক থেকে বিগত সময়ের তুলনায় নতুনত্ব দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন সিনেমাসংশ্লিষ্টরা। এবারে মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাগুলো হলো- রায়হান রাফী পরিচালিত ‘তুফান’, রাশিদ পলাশের ‘ময়ূরাক্ষী’, এমডি ইকবালের ‘রিভেঞ্জ’, মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘ডার্ক ওয়ার্ল্ড’ ও সুমন ধরের ‘আগন্তুক’।

তুফান
তুফান

তুফান

আসন্ন ঈদুল আজহায় রায়হান রাফি পরিচালিত ‘তুফান’ সিনেমা দিয়ে প্রেক্ষাগৃহ কাঁপাতে আসছেন মেগাস্টার শাকিব খান। সঙ্গে আছেন চঞ্চল চৌধুরী, মিমি চক্রবর্তী, মাসুমা রহমান নাবিলা সহ আরও অনেকে। এরই মধ্যে ‘তুফান’ সিনেমার টিজার ও গান মুক্তিতে সিনেমাটির প্রতি দেশ-বিদেশের সব ধরনের দর্শকের আগ্রহ বেড়েছে কয়েক গুণ। গ্যাংস্টারের কাহিনি নিয়েই এগিয়ে যাবে তুফানের গল্প। নব্বই দশকের একজন গ্যাংস্টারের ভূমিকায় দেখা যাবে শাকিব খানকে।

ময়ূরাক্ষী
ময়ূরাক্ষী

ময়ূরাক্ষী

ঈদুল আজহায় মুক্তি পেতে যাচ্ছে বহুল প্রতিক্ষিত সিনেমা ‌‘ময়ূরাক্ষী’। সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন রাশিদ পলাশ। প্রেম আর প্রতারণার গল্পের এই সিনেমাটির গল্প ও চিত্রনাট্য গোলাম রাব্বানীর। সত্য ঘটনার ছায়া অবলম্বনে নির্মিত এই সিনেমাটিতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন সুদীপ কুমার দ্বীপ ও ববি হক। এতে আরও অভিনয় করেছেন সাদিয়া মাহি, সুমিত সেনগুপ্ত, ফারজানা ছবি, সমু চৌধুরী, দীপক সুমন, সাবিনা পুঁথি, ফারুক, মুহিন খান, মানিক শাহ, জুলফিকার চঞ্চল, রুদ্র হক, মিতুল, কস্তূরী চৌধুরী প্রমুখ।

রিভেঞ্জ
রিভেঞ্জ

রিভেঞ্জ

এই ঈদে মুক্তি পাচ্ছে মোহাম্মদ ইকবাল পরিচালিত ‘রিভেঞ্জ’। সিনেমার প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন শবনম বুবলী ও জিয়াউল রোশান। এই সিনেমায় অভিনেত্রী বুবলীকে নুতন ধরনের চরিত্রে, নতুন লুকে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন নির্মাতা ও প্রযোজক মোহাম্মদ ইকবাল। ‘রিভেঞ্জ’ অ্যাকশনধর্মী সিনেমা। প্রতিশোধের গল্পের পাশাপাশি থাকছে পারিবারিক ও প্রবাসীদের গল্প। সিনেমার অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিশা সওদাগর, দীপা খন্দকার, কাজী হায়াৎসহ প্রমূখ।

ডার্ক ওয়ার্ল্ড
ডার্ক ওয়ার্ল্ড

ডার্ক ওয়ার্ল্ড

এই ঈদে মুক্তির তালিকায় যুক্ত হল নির্মাতা মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘ডার্ক ওয়ার্ল্ড’।ক্রাইম-থ্রিলার ঘরানার এই সিনেমার বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন মুন্না খান, কলকাতার কৌশানি মুখার্জি, দীপা খন্দকার, মিশা সওদাগর, বড় দা মিঠু, শিমুল খান, ডন প্রমুখ। কাহিনি ও সংলাপ লিখেছেন দেলোয়ার হোসেন দিল, চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান মানিক। অভিনয়ের পাশাপাশি সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন মুন্না খান।

আগন্তুক

আগন্তুক

ঈদুল আজহার ঠিক সপ্তাহ খানেক আগে মুক্তির তালিকায় এলো পূজা চেরি অভিনীত সিনেমা ‘আগন্তুক’। সুমন ধর পরিচালিত ‘আগন্তুক’ সিনেমায় পূজা চেরী ছাড়াও অভিনয় করেছেন শ্যামল মাওলা, মিলি বাশার, শিখা খান মৌ, হিল্লোল রায়, আনোয়ার শাহীন প্রমুখ। গল্পে দেখা যাবে, শহরের ইতি নামের নারীদের খুন করা হচ্ছে লাশের গলায় ঝুলানো গোলাপের মালায় লেখা থাকে শুভ বিদায় ইতি। খুনের রহস্য উদঘাটনে পুলিশের সঙ্গে নামে দুই সাংবাদিক। এভাবেই এগিয়ে যাবে গল্প।

ঈদে শেখ চাঁদনী’র পাঁচ নাটক

ঈদে শেখ চাঁদনী'র পাঁচ নাটক

দেশীয় টেলিভিশন মিডিয়ার তরুণ প্রজন্মের গ্ল্যামারাস মডেল – অভিনেত্রী শেখ চাঁদনী। অল্প দিনের টিভি ক্যারিয়ারে তিনি একের পর এক দর্শকপ্রিয় নাটকে অভিনয় করে ক্রমশঃ সামনের কাতারে এগিয়ে আসছেন। বরাবরের মতো এবারের ঈদেও সুদর্শনা চাঁদনী অভিনীত বেশ কিছু নাটক বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচার হবে।

 শেখ চাঁদনী
শেখ চাঁদনী

চাঁদনী অভিনীত এবারের ঈদের নাটকের তালিকায় রয়েছে – ‘অত্যাচারী বউ’, ‘কর্পোরেট মেয়ে’, সাত পর্বের ধারাবাহিক ’শান্তি নাই’, ‘মা-ই সেরা’, ‘রসের হাঁড়ি’। এগুলোর মধ্যে সাত পর্বের দুটি ধারাবাহিক প্রচার হবে একুশে টেলিভিশনে এবং ‘রসের হাঁড়ি’ প্রচার হবে বৈশাখী টেলিভিশনে। নাটকগুলোতে চাঁদনীর বিপরীতে অভিনয় করেছেন সঞ্জয় রাজ, সাব্বির আহমেদ ও ওয়াহিদ ইকবাল মার্শাল।

ঈদে প্রচারিতব্য নাটকগুলো প্রসঙ্গে চাঁদনী বলেন, সবগুলোতেই আমি অন্যতম মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছি। নাটকগুলোতে আমার অভিনীত চরিত্রও অসাধারণ। আমি মন প্রাণ ভরে অভিনয় করেছি। আমার সহশিল্পীরাও ছিলেন অসাধারণ। সব মিলিয়ে নাটকগুলো দারুন হয়েছে। আমার বিশ্বাস – এগুলো দর্শক হৃদয় জয় করতে সক্ষম হবে।

কথায় কথায় খুলনার মেয়ে চাঁদনী শেখ জানান, আপাতত তার পুরো ধ্যান – জ্ঞান অভিনয়কে ঘিরেই। এমন ভাবনা নিয়েই দেশীয় শোবিজে তার আগমন। ছোটপর্দায় নাটকে অভিনয় দিয়েই তরুন প্রজন্মের এই অভিনেত্রীর শোবিজ মিডিয়ায় যাত্রা শুরু হয়েছিল। এই মুহূর্তে চাঁদনী নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমেই অভিনেত্রী হিসেবে নিজের অবস্থানটা মিডিয়ায় পাকাপোক্ত করতে চান। সুন্দরী ও নিউ ট্যালেন্ট গ্ল্যামার গার্ল চাঁদনী জানান, মা-বাবার আগ্রহে ছোটবেলা থেকে অভিনয় ও নাচের চর্চাসহ সংস্কৃতির নানা শাখার সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিল তার। তবে অভিনয়ের প্রতি ছিল আলাদা রকমের দুর্বলতা। প্রথমবার তিনি হাসান জাহাঙ্গীর পরিচালিত বৈশাখী টিভির মেগা সিরিয়াল ‘ফ্যামিলী ডিস্টেন্স’ এ অভিনয়ের প্রস্তাব পান। নির্মাতা হাসান জাহাঙ্গীর পূর্বপরিচিত হওয়ায় ওই নাটকে অভিনয়ে রাজি হয়ে যান।

ওই নাটকে অভিনয়ে করা প্রসঙ্গে চাঁদনী বলেন, অভিনয়ের প্রতি দুর্বলতা ছিল। তাই নাটকটিতে অভিনয় করার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইনি। আবার অভিনয়ে ভালো করার ক্ষেত্রে নিজের একটা আত্মবিশ্বাস ছিল যে আমি পারবো। সেই আত্মবিশ্বাস থেকে শুরু, এখন পুরোদমে চলছে।

চাঁদনী জানান, এরপর তিনি অনেকগুলো মেগা সিরিয়ালে কাজ করেছেন। হাসান জাহাঙ্গীরের ‘এন্ট্রি হিরো’, মেহেদী রনি পরিচালিত ‘হাতকড়া’, মেহেদী রনির ওভিসি, আলী সুজনের ‘পালাকার’। জাহিদুল ইসলাম মিন্টু’,র ‘অক্টোপাস’। মুক্তাদির বিন সালামের ‘গেম’ ইত্যাদি নাটকে অভিনয় করে আলোচিত হয়েছেন তিনি। চাঁদনী নতুন অভিনয় শুরু করেছেন সৈয়দ রেফাত সিদ্দিকী ও শাহাদাত আলম ভূবন পরিচালিত ‘চিরকুমারী সংঘ’ নাটকের।

 শেখ চাঁদনী
শেখ চাঁদনী

এছাড়াও তিনি একক নাটকের মধ্যে মোরশেদ সুমনের ‘আবু বাবু’, ‘শাশুড়ী ভক্ত জামাই’, জয় সরকারের ‘প্রবাসীর আহাজারি’, ফজলুল সেলিমের ‘লাট সাহবের মেয়ে’, আজিম খানের ‘দুষ্টু ছেলের দল’, আইয়ুব আলী খানের ‘স্বামী আমার দামী’, ‘বিয়ের দাবী’ ইত্যাদি নাটকে অভিনয় করেছেন। এছাড়াও আলী সুজন পরিচালিত ১০ টা শর্টফিল্ম, মাহফজুর রহমানের মিউজিক্যাল ফিল্মে কাজ করেছেন। অন্যদিকে চাঁদনী আবার ওয়াজেদ আলী সুমন পরিচালিত ‘ছায়া’ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে বিনোদনের বৃহৎ মাধ্যম চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেছেন।

নিজের বর্তমান ব্যস্ততা ও কাজ প্রসঙ্গে চাঁদনী বলেন, প্রতিদিনই নাটক তৈরি হচ্ছে। পুরোনোদের দলে নতুন নতুন শিল্পীরা যোগ হচ্ছেন। ভালো কাজ করার মধ্য দিয়েই টিকে থাকতে হবে এখানে। সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি আমি। ঈদের কাজ শেষ করে দেশের বাড়ি খুলনায় এসেছি ঈদ করতে। আপাতত কয়েকটা দিন ছুটি কাটাবো। এরপর ঢাকায় ফিরে নতুন নাটকের কাজ শুরু করবো।

চাটখিলে ঢেউটিন চেক ও নগদ অর্থ বিতরণ 

চাটখিলে ঢেউটিন চেক ও নগদ অর্থ বিতরণ 

দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে চাটখিলে ৩২জন দুস্থ- অসহায়দের মাঝে  ঢেউটিন ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সন্ধ্যার আগে চাটখিল উপজেলা পরিষদের সভা কক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাংসদ এইচ.এম ইব্রাহিম। এসময় তিনি তার ঐচ্ছিক তহবিল থেকে ৩৪ জনের মাঝে ১লাখ ৫৮ হাজার টাকার চেক বিতরণ করেন।   

বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন চাটখিল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আকিব ওসমান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ খন্দকার মোশকাত আহমেদ, পৌর মেয়র মো. নিজাম উদ্দিন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এইচ.এম আলী তাহের ইভু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. বেলায়েত হোসেন, সাধারন সম্পাদক নাজমুল হুদা শাকিল, থানার ওসি মুহাম্মদ ইমদাদুল হক, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ ও ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

মুরাদনগরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেঞ্চ সরবরাহ

মুরাদনগরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেঞ্চ সরবরাহ

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্লাস্টিকের উঁচু-নিচু বেঞ্চ সরবরাহ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে উপজেলা পরিষদের আয়োজনে উপজেলা পরিচলন ও উন্নয়ন প্রকল্প(ইউজিডিপি) স্থানীয় সরকার বিভাগ ও জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সী(জাইকা)’র সহয়তায় উপজেলার ১৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেঞ্চ সরবরাহ করা হয়।

বেঞ্চ সরবরাহের পূর্বে উপজেলা কবি নজরুল মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত উদ্দীনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা-৩ মুরাদনগর আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম সরকার। 

উপজেলা ডেভেলপমেন্ট ফ্যাসিলিটেটর মোঃ জাহিদুল ইসলাম এর সঞ্চলনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রায়হানুল আলম চৌধুরী, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও রামচন্দ্রপুর রামকান্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাজুল ইসলাম।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মাসুকুল ইসলাম মাসুক, সমাজসেবা কর্মকর্তা বরুণ চন্দ্র দে, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দেওয়ান মোঃ জাহাঙ্গীর, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠনের শিক্ষকগণসহ অন্যরা।

জাইকা’র সহয়তায় উপজেলার ১৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ডি. ডি.এস ওয়াই উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৫ জোড়া, হানিফ সরকার উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ জোড়া, রামচন্দপুর রামকান্ত উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৫ জোড়া, অজিফা খাতুন উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ জোড়া, কাজিয়াতল রহিম-রহমান মোল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ জোড়া, পাঁচকিত্তা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ জোড়া, আকুবপুর ইয়াকুব আলী ভূইয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ জোড়া,

আন্দিকুট সৈয়দ গোলাম জিলানী উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ জোড়া, শ্রীকাইল কে, কে, উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৫ জোড়া, কুলুবাড়ী আদর্শ মহিলা দাখিল মাদ্রাসায় ১০ জোড়া, পাঁচপুকুরিয়া বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৫ জোড়া, বাঁশকাইট পিতাম্বর জুবিলী উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৫ জোড়া, যাত্রাপুর আশরাফ কামিনী উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ জোড়া, কামারচর উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৪ জোড়া, কাজিলতল দঃ পাড়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ১০ জোড়া, কোম্পানীগঞ্জ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ১০ জোড়া, কামাল্লা ডেঙ্গু চন্দ্র, রাজ চন্দ্র, সনাতন বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ জোড়া, মুরাদনগর মুসলেম মিয়া দাখিল মাদ্রাসায় ১০ জোড়াসহ মোট ২ শত ৯ জোড়া প্লাস্টিকের উঁচু-নিচু বেঞ্চ সরবরাহ করা করেন।

মুরাদনগরে পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি মূলহোতা গ্রেফতার

পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি মূলহোতা গ্রেফতার

কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানা গেইটের সামনে পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতির অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত মোঃ নাজমুল হাসান(২৬) উপজেলার সদর ইউনিয়নের মধ্যপাড়া গ্রামের মোঃ ওমর আলীর ছেলে।

প্রেস রিলিজ সূত্রে জানা যায়, মাছ নিয়ে গাড়ীতে করে যাওয়ার সময় গত ৪জুন রাত ১১:৫৫মিনিটে আইনের লোক পরিচয়ে আল্লাহ চত্ত্বরে ৮-৯জনের একটি সংঘবদ্ধ দল পথরোধ করে মাছ ব্যবসায়ী সঞ্জিত চন্দ্র সরকারকে(৫১)। তখন তাদের গাড়ীতে অবৈধ মালামাল আছে দাবীতে গাড়ী তল্লাশির জন্য থানা গেইটে নিয়ে যায় ডাকাতদল। রাত ১:৪০মিনিটে থানা গেইটে পিকাপ ভ্যানটি পৌঁছা মাত্র সঞ্জিত সরকারকে চর থাপ্পড় মেরে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে, তার সাথে বহনকৃত ১লক্ষ টাকা ও পিকাপভ্যান ড্রাইভারের ২হাজার টাকা লুট করে দ্রুত মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার নিয়ে পালিয়ে যায়।

দীর্ঘ ১সপ্তাহ তদন্ত ও অভিযানের পর মুরাদনগর থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধরের বিচক্ষণ নেতৃত্বে সন্দেহমূলক ভাবে মোঃ নাজমুল হোসেনকে গ্রেফতার করলে ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে। তখন তার সাথে থাকা অপর আসামী পালিয়ে গেলেও ফেলে যায় ১৫পিস ইয়াবা। এসময় ঘটনারদিন ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি জব্দ করে পুলিশ। আটক নাজমুল হাসানের বিরুদ্ধে পূর্বের নারী নির্যাতন, বিস্ফোরক দ্রব্য সহ ১১টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

মুরাদনগর থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেন, আটকৃত আসামীকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ইয়াবা বহনের দায়ে অপর আসামীর বিরুদ্ধে আলাদা মাদক আইনে মামলা রুজু হয়েছে। 

টুঙ্গিপাড়ায় প্রত্যাগত অভিবাসীদের নিয়ে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সেমিনার

টুঙ্গিপাড়ায় প্রত্যাগত অভিবাসীদের নিয়ে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সেমিনার

“প্রত্যাগত অভিবাসী ফিরে এলেও পাশে আছি” এই প্রতিপাদ্যে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় প্রত্যাগত অভিবাসী কর্মীদের পুনঃ একত্রীকরণে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি,সহ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত সেমিনারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মইনুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ বাবুল শেখ।

এসময় প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সহকারী পরিচালক প্রদীপ কুমার সরকার, সহকারী পরিচালক (ডিইএমও) ষষ্টিপদ রায়, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক টুঙ্গিপাড়া শাখার ম্যানেজার হুমায়ুন কবির মুন্না, প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান টিটিসি টুঙ্গিপাড়া শাখার শহিদুল ইসলাম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, অনেক প্রবাসী বাংলাদেশী প্রতারণার শিকার হয়ে দেশে ফিরে এসেছেন ও প্রবাসী বাংলাদেশী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের কথা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী কাজ করে চলেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন।

চাটখিলে চাহিদার চেয়ে গবাদি পশু অধিক: তুলনামূলক দাম কম

চাটখিলে চাহিদার চেয়ে গবাদি পশু অধিক: তুলনামূলক দাম কম

চাটখিল উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও চাটখিল পৌর সভায় কুরবানির জন্য চাহিদার চেয়ে অধিক গবাদি পশু রয়েছে। উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় এগ্রো ফার্ম ও গৃহ পালিত গবাদি পশু রয়েছে ১১হাজার ২১৩টি। কুরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ১১হাজার ২৪৫টি।

এছাড়া মৌসুমী ব্যবসায়ীদের আনীত গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া এবছর চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি রয়েছে। ফলে পশুর দাম অন্য বছরের তুলনায় এবার অনেকটা কম বলে ক্রেতা-বিক্রেতারা মনে করছে। পশুর হাট ঘুরেও দেখা যায়, আমাদের উপস্থিতিতে যেসব পশু বিক্রি হয়েছে এসব ক্রেতারা দাম নাগালের মধ্যে রয়েছে বলে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

উপজেলার পরকোট-দশঘরিয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ভ্রাম্যমান পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায় হাজার-হাজার গরু ভর্তি মাঠটি। ক্রেতার চেয়ে গরুর সংখ্যা অধিক। ফলে দামে সস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে ক্রেতারা। তবে বিক্রেতারা বলছে শেষ পর্যন্ত তাদের অনেক পশু অবিক্রিত থেকে যাবে। কারণ চাহিদার চেয়ে গরু, মহিষ ও ছাগল কয়েক গুন বেশি। ভীমপুর টেকনিক্যাল কলেজের প্রভাষক জসিম মাহমুদ জানান, গত কয়েক বছরের চেয়ে এবছর পশুর সংখ্যা বেশি হওয়ায় দাম অনেকটা কম। তাই অনেকেই এবছর আগে-ভাগেই পশু কিনে ফেলছে।        

উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শাহাদাত হোসেন বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেলে জানান, চাটখিলে বিভিন্ন এগ্রো ফার্ম ও গৃহে পালিত ৪৪৩৬টি ষাঁড়, ৬৮৩টি বলদ, ৩৬৮টি গাভী, ২৬টি মহিষ, ৫৬৫৭টি ছাগল, ৪৩টি ভেড়া রয়েছে। এছাড়া মৌসুমী ব্যবসায়ীদের আনীত গরু, মহিষ, ছাগল রয়েছে কয়েক লাখ। সব মিলিয়ে চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি পশু রয়েছে বলে তিনি জানান।  

নোয়াখালীতে ইউআইটিআরসিই’র দিন ব্যাপী সেমিনার

নোয়াখালীতে ইউআইটিআরসিই’র দিন ব্যাপী সেমিনার

নোয়াখালীর চাটখিলে উপজেলা আইসিটি ট্রেনিং এন্ড রিসোর্স সেন্টার ফর এডুকেশন (ইউআইটিআরসিই) ব্যানবেইসের আয়োজনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকালে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে ইউআইটিআরসিই’র সহকারী প্রোগ্রামার মোঃ জহির উদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সেমিনারে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ বিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ এহসান উদ্দীন।

এছাড়াও স্মার্ট বাংলাদেশের ৪টি স্তম্ভ নিয়ে সেমিনারে বক্তব্য প্রদান করেন উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ জুনাইদ আলম, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ শিক্ষকদের করণীয় বিষয়ে বক্তব্য প্রদান করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আহসান উল্যা চৌধুরী।

উন্মুক্ত আলোচনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানরা স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ ব্যবস্থা গঠনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ব তুলে ধরেন। এসময় স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের কথাও তারা উল্লেখ করেন।

সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন চাটখিল উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এইচ.এম আলী তাহের ইভু। উপজেলার শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ সহ উপজেলার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের ৪০টি প্রতিষ্ঠান প্রধান সেমিনানে অংশগ্রহণ করেন।

নোয়াখালীতে শিশু নির্যাতন ও ধর্ষন প্রতিরোধে পুলিশের মতবিনিময় সভা

নোয়াখালীতে শিশু নির্যাতন ও ধর্ষন প্রতিরোধে পুলিশের মতবিনিময় সভা

নোয়াখালীর চাটখিল থানা পুলিশের আয়োজনে হাফেজিয়া ও কাওমী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ও কমিটির সদস্যদের নিয়ে শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষন প্রতিরোধে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বুধবার (১২ জুন) দুপুরে চাটখিল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ ইমদাদুল হকের সভাপতিত্বে থানা কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) বিজয়া সেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার (চাটখিল সার্কেল) নিত্যানন্দ দাস। মতবিনিময় সভায় কমিউনিটি পুলিশিং পৌর সমন্বয় কমিটির সভাপতি সাবেক কমিশনার মমিনুল ইসলাম দুলাল সহ  বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে উপস্থিত হাফেজিয়া ও কাওমী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ও কমিটির সদস্যগণের উদ্দেশ্যে শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষন ও বলৎকারের বিষয়গুলো প্রতিরোধের ব্যাপারে আরো নজরদারি বাড়ানোর জন্য গুরুত্বারোপ করেন। বিশেষ অতিথি নিত্যানন্দ দাস এসব অপরাধের ব্যাপারে সকল ইউনিয়ন পর্যায়ে বিট পুলিশিংয়ের প্রতি জোর দিতে বলেন এবং অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এছাড়াও অন্যান্য বক্তারা এই অপরাধ যেনো চাটখিলে আর না ঘটে এ ব্যাপারে  সতর্ক দৃষ্টি রাখবেন বলে জানান।

পলাশ মণি দাসের পরিচালনায় “নানা বাড়িতে ঈদ”

পলাশ মণি দাসের পরিচালনায় “নানা বাড়িতে ঈদ”

এ সময়ের নির্মাতা পলাশ মণি দাস। এবারের ঈদের জন্য নির্মাণ করেছেন “নানা বাড়িতে ঈদ”। এই নাটকটি রচনা করেছেন রাজীব মণি দাস।

নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন- হান্নান শেলি, আখম হাসান, পুনম হাসান জুঁই, তারিক স্বপন, সূচনা শিকদার, নিথর মাহবুব, সাজু আহমেদ, সিগ্ধা হোসাইন, ফরিদ হোসাইন প্রমুখ।

পলাশ মণি দাস জানান, গল্পে নানা বাড়িতে কোরবানি ঈদ উদযাপন তুলে ধরা হয়েছে। নানা -নাতির খুনসুটি- আনন্দে মেতে উঠা সহ বিভিন্ন মজার দৃশ্য থাকবে। শেষে দেখা যাবে, নানা তার নাতি-পুতিকে নিয়ে হাটে গরু কিনতে যাওয়ার সময় ঘটে এক মানবিক ঘটনা। তা জানতে হলেই দেখতে হবে এই নাটক। আশা করি দর্শক নিরাশ হবে না। সকলকে পরিবার নিয়ে দেখার আমন্ত্রণ রইল।

বর্তমান আলো/নীরা

শপথ নিলেন মুরাদনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ড. আহসানুল আলম সরকার কিশোর

শপথ নিলেন মুরাদনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ড. আহসানুল আলম সরকার কিশোর

টানা দ্বিতীয়বারের মতো উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নিলেন কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ড. আহসানুল আলম সরকার কিশোর। বুধবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন তিনি। এ ছাড়াও এ সময় নবনির্বাচিত উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ড. আহসানুল আলম সরকার কিশোর প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তা এবং মুরাদনগর উপজেলাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, মুরাদনগররের মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তারা নিজের আমানত ভোট দিয়ে জয়ী করেছে। আমি যেভাবে তাদের পাশে থেকে কাজ করেছিলাম এখনো তাই করব। এই জয় আমার একার নয়, এই জয় মুরাদনগর উপজেলাবাসীর।

গেরস্তের গরুতে আস্থা ক্রেতাদের; দর নিয়ে চিন্তার ভাঁজ খামারিদের কপালে

গেরস্তের গরুতে আস্থা ক্রেতাদের; দর নিয়ে চিন্তার ভাঁজ খামারিদের কপালে
চিন্তার ভাঁজ খামারিদের
প্রস্তুত রয়েছে ২১হাজার ৭শত ২৪টি পশু
চাহিদার চেয়ে বেশি রয়েছে ২৯১টি পশু
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে লাভের গুড় সীমিত
খামারে গেলে দালালের খপ্পরে পরতে হয় না

দেশী গরুর চাহিদা বরাবরের মতোই বেশি রয়েছে ক্রেতাদের মাঝে। আসন্ন পবিত্র কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কুমিল্লার জেলার মুরাদনগর উপজেলায় গরু লালনপালন করে প্রস্তত করেছে খামারিরা। শেষ সময়ে গরু বিক্রির জন্য হাটে তুলতে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত হচ্ছে গরু পালনকারী খামারিদের। ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণে পছন্দসই নাম রেখে গরুগুলো হাটে তুলছে সপ্তাহের বিভিন্ন দিন।

সরেজমিনে উপজেলার কয়েকটি খামার পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, দেশি গরুর অধিকাংশ বিক্রি হয়ে যায় হাটে তুলার পূর্বে। দেশি গরুগুলোর সঠিক প্রক্রিয়ায় লালনপালন করে বড় করে তোলা হয়। মোটাতাজা করতে ঔষধ প্রয়োগ করা হয় না বিধায় ক্রেতাদের আগ্রহ দেশী গরুতে। লালবাবু নামের একটি দেশি জাতের বিশাল আকৃতির গরুর দাম হাঁকছেন সাড়ে ৬লক্ষ টাকা।

ক্রেতারা বলছেন, কোরবানি দেওয়া হয় আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে গরু মোটাতাজা করণের ঔষধ প্রয়োগ করে৷ গেরস্তের গরু নির্ভেজাল। গেরস্তের গরু গুলো আমাদের সামনে বেড়ে উঠে। প্রথমে গেরস্তের বাড়িতে খোঁজ করি গরু। ভালো গরু পেলে এবং দামে বনিবনা হলে হাটে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। হাটে দালাল থাকে, তারা খামারিদের টাকায় ভাগ বসায়। খামারির বাড়ি থেকে কিনলে দালালের খপ্পরে পড়তে হয় না।

গরু ব্যবসায়ী আকবর ও তার সহযোগীরা বলেন, দিনদিন জিনিসপত্রের দাম প্রচুর বাড়ছে। গরু লালনপালন করতে অনেক টাকা খরচ হয় সেইসাথে শ্রম দিতে হয় প্রচুর। আমার খামারে ১৪টি গরু লালনপালন করেছিলাম। হাঁটে তুলার আগে ৯টি বিক্রি হয়ে গেছে। ভারত ও মায়ানমার হয়ে গরু দেশে প্রবেশ করে তাই ক্রেতারা দাম কম বলছে। দেশীয় খামারিদের শ্রমের বিনিময়ে ন্যায্য লভ্যাংশ বৃদ্ধিতে অবৈধভাবে বিদেশি গরু প্রবেশ রোধের অনুরোধ জানান সরকারের নিকট।

উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, আমাদের উপজেলায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে ২১হাজার ৭শত ২৪টি পশু। চাহিদার চেয়ে বেশি রয়েছে ২৯১টি পশু। আশা করছি যারা কোরবানি দিবেন তাদের কোনো ঘাটতি হবে না।