বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য মোহাম্মদ রইশুদ্দীনের মরদেহ হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। গত সোমবার (২২ জানুয়ারি) ভোরে গরু চোরাকারবারিদের ধাওয়া করতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন ওই বিজিবি সদস্য।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে সাড়ে ১১টার দিকে যশোরের শার্শার শিকারপুর সীমান্তে বিজিবি’র ৪৯ ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল জামিলের কাছে মোহাম্মদ রইশুদ্দীনের মরদেহটি হস্তান্তর করে বিএসএফ।
এর আগে, গত সোমবার (২২ জানুয়ারি) ভোরে বেনাপোলের ধান্যখোলা সীমান্তে গরু চোরাকারবারিদের ধাওয়া করতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে বিজিবি’র ওই সিপাহী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পতাকা বৈঠকের পর বিজিবি কূটনৈতিক চ্যানেলে প্রতিবাদলিপি পাঠায়। একইসঙ্গে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তও দাবি জানায় বিজিবি।
বিজিবির পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বিজিবি যশোর ব্যাটেলিয়নের ধান্যখোলা বিওপির জেলেপাড়া পোস্টসংলগ্ন এলাকায় একদল গরু চোরাকারবারীকে ভারত থেকে সীমান্ত অতিক্রম করে আসতে দেখলে দায়িত্বরত বিজিবি টহল দল তাদের চ্যালেঞ্জ করে। এ সময় চোরাকারবারিরা দৌড়ে ভারতের দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ সময় বিজিবি টহল দলের সদস্য সিপাহী মোহাম্মদ রইশুদ্দীন চোরাকারবারিদের পেছনে ধাওয়া করতে করতে ঘন কুয়াশার কারণে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। প্রাথমিকভাবে তাকে খুঁজে পাওয়া না গেলেও পরে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়, তিনি বিএসএফের গুলিতে আহত হয়ে ভারতের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বিষয়টি জানার পরই ব্যাটেলিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করা হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানান লেফটেন্যান্ট কর্নেল জামিল। তিনি জানান, এরপর জানা যায় যে ভারতীয় ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিপাহী রইশুদ্দীনের মৃত্যু হয়েছে।