রাবিতে আন্তর্জাতিক মৎস্য ও জলজ কৃষি সম্মেলন অনুষ্ঠিত

রাবিতে আন্তর্জাতিক মৎস্য ও জলজ কৃষি সম্মেলন অনুষ্ঠিত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক মৎস্য ও জলজ কৃষি সম্মেলন-২৪ (ইন্টারন্যাশনাল ফিসারিজ এন্ড অ্যাকুয়াকালচার কনফারেন্স) শুরু হয়েছে। 

শনিবার (৮ জুন) সকাল ৯টায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে ‘স্মার্ট এ্যাকোয়াকালচার এন্ড ফিশারিজ ফর সেফ ফুড প্রডাকশন’ শীর্ষক এই সম্মেলনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. আব্দুল ওয়াদুদ দারা এমপি।

অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার এবং পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রধান) অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম ও উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর।

রাবি ফিশারিজ অনুষদের অধিকর্তা ও সম্মেলন সাংগঠনিক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মন্ডলের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. জামাল উদ্দিন ভূইয়া, ফিশারিজ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মো. আলমগীর, বাংলাদেশ ফিশারিজ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. জুলফিকার আলী ও ওয়ার্ল্ড ফিস বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. বিনয় কুমার বর্মন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন সম্মেলন সাংগঠনিক কমিটির সদস্য-সচিব অধ্যাপক মো. তরিকুল ইসলাম।

সম্মেলন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ বলেন, ফিশারিজ বাংলাদেশের কৃষিখাতে অত্যন্ত সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র।সম্ভাব্যতা যাচাই ও গবেষণার মাধ্যমে উন্নততর প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণির উৎপাদন বাড়ানোর মাধ্যমে দেশে প্রাণীজ আমিষের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি উদ্বৃত্ত উৎপাদন বিদেশেও রপ্তানি করা যাবে। ইতিমধ্যেই এই খাত উল্লেখযোগ্য পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করেছে। এই ধারাকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এই সম্মেলন ফিশারিজ ও এ্যাকোয়াকালচার বিষয়ে ভবিষ্যত গবেষণা ও উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে দিক নির্দেশনা দিবে বলে তাঁরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ভারতের কল্যানী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অনিলাভ কবিরাজ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ও রাবি ফিশারিজ বিভাগের অধ্যাপক মো. আখতার হোসেন মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন।

সম্মেলনর প্রথম দিনে একটি প্লিনারি সেশন ও একটি বিজনেস সেশন এবং একটি টেকনিক্যাল সেশনের আওতায় পাঁচটি প্যারালাল টেকনিক্যাল সেশন, একটি পোস্টার সেশনের আওতায় চারটি থিমেটিক পোস্টার সেশন অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্ধারিত আছে। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন রবিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জে ‘কনফারেন্স ট্রিপ’ অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্ধারিত আছে।

দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনে দেশ-বিদেশ থেকে প্রায় ৪০০ ফিশারিজ ও এ্যাকোয়াকালচার বিষয়ের শিক্ষক, গবেষক ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের পেশাজীবী অংশ নিয়েছেন।

ন্যাশনাল সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড পেলেন হাবিপ্রবির শিক্ষার্থী রাইজুল ও মোয়াজ্জেম 

ন্যাশনাল সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড পেলেন হাবিপ্রবির শিক্ষার্থী রাইজুল ও মোয়াজ্জেম 

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) দুই শিক্ষার্থী ‘ন্যাশনাল সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন।

শিক্ষার্থীরা হলেন- হাবিপ্রবির রোভার স্কাউট গ্রুপের   রোভারমেট মোয়াজ্জেম হোসেন ও মো. রাইজুল ইসলাম। মোয়াজ্জেম হোসেন  বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং মো. রাইজুল ইসলাম অর্থনীতি  বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী

স্কাউট আন্দোলনের মাধ্যমে মানব কল্যাণে আত্মনিবেদন করে বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, ঝড়-বৃষ্টি, আপদকালীন উদ্ধার, ত্রাণ সামগ্রী সংগ্রহ ও বিতরণ ইত্যাদি কাজে আত্মনিবেদন করায় সাহসী ও গৌরবময় সেবার স্বীকৃতিস্বরুপ প্রদান করা হয়ে থাকে ন্যাশনাল সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড।

ন্যাশনাল সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার অনুভূতি জানিয়ে রাইজুল ইসলাম বলেন, স্কাউট একটি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবামূলক প্রতিষ্ঠান। হাবিপ্রবি  রোভার স্কাউট গ্রুপের সদস্যরা প্রতিনিয়ত সেবামূলক কাজ করে দেশ ও সমাজের সেবা করে চলেছে। তারই ফলশ্রুতিতে এই অর্জন। এই আগ্রহ ধরে রেখে ভবিষ্যতে আরও বেশি বেশি সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখার চেষ্টা করবো। সেইসাথে বাংলাদেশ স্কাউটসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, যারা আমার কাজগুলোকে মূল্যায়ন করেছে।

মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, একজন রোভার হিসেবে মানব সেবায় নিজেকে নিয়জিত করে তার প্রতিদান হিসেবে বাংলাদেশ স্কাউটস কর্তৃক ন্যাশনাল সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড অর্জন করি। যা আমাদের  মানব সেবার মতো মহীয়সী কাজে আরও বেশি উৎসাহিত করবে।

হাবিপ্রবিতে সাসটেইনেবল ফিউচার বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

হাবিপ্রবিতে সাসটেইনেবল ফিউচার বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইডিয়া’র ব্যবস্থাপনায় মাইক্রো-কোর্স অন ইম্প্যাক্ট এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ইন্যাবলিং সাসটেইনেবল ফিউচার বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে । 

শনিবার (১জুন) বিকেল ৪ টায় হাবিপ্রবির অডিটোরিয়াম-২ এ উক্ত সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। 

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক  ড. এম কামরুজ্জামান, কী-নোট স্পীকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়ান বাংলাদেশের সভাপতি  ও সিআরআই এর সিনিয়র এসোসিয়েট অধ্যাপক মোঃ রশীদুল হাসান এবং অনলাইনে যুক্ত ছিলেন আইডিয়া প্রকল্পের সিনিয়র কনসালটেন্ট এবং অপারেশন স্পেশালিস্ট সিদ্ধার্থ গোস্বামী।এসময় তারা উদ্যোক্তাদের নিয়ে সরকারের বিভিন্ন পলিসি সম্পর্কে  আলোচনা করেন।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন হাবিপ্রবির ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক  ড. মোঃ মাহাবুব হোসেন, এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ক্যারিয়ার অ্যাডভাইজরি সার্ভিস (ক্যাডস) এর পরিচালক অধ্যাপক  ড. এন এইচ এম রুবেল মজুমদার। সঞ্চালনা করেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের সহকারী পরিচালক সহকারী অধ্যাপক মোঃ মিজানুর রহমান। 

কী-নোট স্পীকারের বক্তব্যে ওয়ান বাংলাদেশের সভাপতি  অধ্যাপক  মোঃ রশীদুল হাসান বলেন, বর্তমান যুগে তথ্য প্রযুক্তির বিকল্প নেই। এখনকার যুব সমাজ যদি উদ্যেক্তা হতে পারে তাহলে তারা নিজেদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি অন্যদের কর্মসংস্থান করতে পারবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক   ড. এম কামরুজ্জামান বলেন, আমি বিশ্বাস করি আমাদের শিক্ষার্থীরা একদিন দক্ষ গ্র্যাজুয়েট হিসেবে বের হবে। দিন দিন প্রাইভেট সেক্টর বড় হচ্ছে। সুতরাং প্রাইভেট সেক্টরকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমাদেরকে ইনোভেশন এবং সৃষ্টিশীলতার প্রতি আগ্রহী হতে হবে। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে দক্ষ উদ্যেক্তা তৈরি করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন এবং কাজকে সহযোগিতা করার জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় আমাদের  নতুন নতুন ইনোভেশন এবং ধারণা দিচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ইউনিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আশা রাখছি আমাদের শিক্ষার্থীরা নিজেদের আইডিয়া একে অপরের সাথে শেয়ার করবে এবং ইউনিক আইডিয়া ডেভলপ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের কাজে সহযোগিতা করবে এবং অংশগ্রহণ করবে। পরিশেষে তিনি উপস্থিত সকলকে এবং আয়োজন সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

নোয়াখালীতে প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

নোয়াখালীতে প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার শাহাপুর বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোরশেদ আলম স্বপন ক্রমেই স্বেচ্ছাচারিতায় বেপরোয়া হয়ে উঠছেন। স্কুল এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা হওয়ায় তার প্রভাব যেন বেড়ে গেছে কয়েকশত গুণ। একদিকে স্কুলের প্রধান শিক্ষক, অপর দিকে তিনি স্থানীয়। ফলে তিনি ধরা কে সরা জ্ঞান মনে করেন। স্কুলের শিক্ষক, কর্মচারী, শিক্ষার্থী, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য এমনকি অভিভাবকরা তার কাছে লাঞ্চিত-অপমানিত হতে হয়। স্কুলের আশপাশের ব্যবসায়ীরাও তার কাছে জিম্মি।
 
স্কুলের ৮ম শ্রেনীর এক শিক্ষার্থীকে বেধম পিটিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করার ঘটনায় শিক্ষার্থীর মা প্রধান শিক্ষক মোরশেদ আলম স্বপনের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে, তিনি ঐ শিক্ষার্থীর মাকে বেয়াদব বলে গালি দিয়ে অফিস থেকে হুমকি-ধামকি দিয়ে বের করে দেন। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে। শিক্ষার্থীদের দাবি প্রধান শিক্ষক মোরশেদ আলম স্বপন কে অপসারণ না করা হলে তারা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করবে।
 
শনিবার (২৫ মে) দুপুরে প্রধান শিক্ষক মোরশেদ আলম স্বপনের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে, তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে সরেজমিনে গিয়ে স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কয়েকজন অভিভাবকের সাথে কথা বললে, সকলে এক বাক্য দাবি তোলে প্রধান শিক্ষকের অপসারণ চাই। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষক বলেন, শিক্ষার্থীদের মারধর করা সরকারি ভাবে বিধি-নিষেধ থাকলেও প্রধান শিক্ষক ঐ বিধি-নিষেধের কোন তোয়াক্কা করেন না। তিনি শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে একই আচরণ করেন। অভিভাবকরা জানান, যেখানে কিশোর গ্যাং ও মাদকে ধ্বংসের দিকে চলে যাচ্ছে কিশোর-কিশোরীরা। সরকার মাদকের ছোবল থেকে কিশোর-কিশোরীদের ফিরাতে নানামূখী উদ্যোগ গ্রহন করছে। তারমধ্যে অন্যতম একটি সুস্থ বিনোদন খেলাধুলা। অথচ স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্কুল ছুটির পর স্কুলের প্রধান গেইট বন্ধ করে দিয়ে শিক্ষার্থীদের কে খেলাধুলা করতে দেয় না। এবিষয়ে তার কাছে অভিভাবকেরা জানতে চাইলে তিনি অভিভাবকদের কে বাড়িতে মাঠ তৈরি করে ছেলে-মেয়েদের খেলার ব্যবস্থা করতে বলেন।

অপরদিকে স্কুলের পিছনে হিন্দু সম্প্রদায় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর চলাচলের পথ বন্ধ করে দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। অথচ এই হিন্দু সম্প্রদায়ের পূর্ব পুরুষ সুধন্য কুমার দাস বিদ্যালয়ের জন্য ৪২ শতক ভূমি দানপত্র দলিলের মাধ্যমে দান করে গেছেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক আজ তার প্রজন্মের চলাচলের পথ বন্ধ করে অবরুদ্ধ করে রাখছেন প্রায় ২০/২৫টি পরিবার কে। অপর দিকে সুধন্য কুমার দাসের নাতবৌ এই বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক। তিনিও ঐ পরিবার গুলোর মত করে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।

পরে বিদ্যালয়ের সভাপতি শেখ ফরিদের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে, তিনি প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারিতার কথা স্বীকার করে, তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত সকল অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

হাবিপ্রবিতে পক্ষকালব্যাপী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা উৎসবের উদ্বোধন

হাবিপ্রবিতে পক্ষকালব্যাপী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা উৎসবের উদ্বোধন

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাংলা সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক চর্চা বৃদ্ধি করতে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) রবীন্দ্র -নজরুল জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত হয়েছে পক্ষকালব্যাপী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা উৎসব ২০২৪

বৃহস্পতিবার (১৬ই মে ২০২৪) বিকাল ৪:৩০ এ প্রতিযোগিতা উৎসব টি বিশ্ববিদ্যালয় অডিটোরিয়াম -১ এ অনুষ্ঠিত হয়েছে ৷ 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে  উপস্থিত ছিলেন  হাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক  ড. এম. কামরুজ্জামান৷ বিশেষ অতিথি হিসেবে  উপস্থিত ছিলেন  ছাত্র- পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহাবুব হোসেন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মামুনুর রশীদ, আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক ড. বিকাশ চন্দ্র সরকার

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অনুষদের ডিন,বিভাগের চেয়ারম্যান,  হলসুপারগন ও  বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা।  অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন পক্ষকাল ব্যাপী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা উৎসব উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. শ্রীপতি সিকদার। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের সহকারী পরিচালক সহকারী অধ্যাপক  শেখ মো. সহিদ উজ জামান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানটির শুভ উদ্বোধন করেন হাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড.  এম. কামরুজ্জামান। এসময় তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সৃজনশীলতা প্রকাশের সক্ষমতা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের পারদর্শিতা চিহ্নিত করে এই চর্চায় যেনো তারা আরও বেশি করে উৎসাহিত হতে পারে এবং বিভিন্ন সৃজনশীল ক্ষেত্রে তারা তাদের সক্ষমতা জানান দিতে পারে তা নিশ্চিত করা। সেজন্যই আমাদের এ আয়োজন”

তিনি আরও বলেন, “২০২২ সালে তৎকালীন মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি এই উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করেছিলেন। তারপর থেকে প্রতিবছর আমরা এই উৎসব পালন করছি এবং ভবিষ্যতেও এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। আমাদের উদ্দেশ্য সুন্দর একটি সাংস্কৃতিক আবহ তৈরি করা। এই আবহ তৈরির মাধ্যমেই আমরা অবদান রাখবো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নে।”