কুমিল্লা-৩ আসনে পরিবর্তনের আভাস, আলোচনায় নতুন মুখ

কুমিল্লা-৩ আসনে পরিবর্তনের আভাস, আলোচনায় নতুন মুখ

তফসিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দামামা বেজে উঠেছে। নির্বাচন বানচালে ছিল দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্রের মধ্যে তফসিল ঘোষণায় আনন্দের জোয়ার বইছে আওয়ামী লীগসহ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির দলগুলো।

এরই ধারাবাহিকতায়, তফসিল ঘোষণার পরেই দেশের অন্য সংসদীয় আসনের মতো কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনেও জমে উঠছে নির্বাচনী রাজনীতি। বিশেষ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা এরই মধ্যে মাঠে না নামলেও ফেসবুকে পোস্ট করে মাতিয়ে রেখেছেন। কমর্ী সমর্থকরা পছন্দের নেতার চালাচ্ছেন জোর প্রচার প্রচারণা।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, দলীয় নেতা কর্মীদেরকে হামলা মামলা দিয়ে হয়রানী করে বিএনপি নেতাদেরকে সুযোগ দিয়ে তৃণমূল নেতাদের আস্থা হারিয়েছেন ইউসুফ হারুন। বঞ্চিত নেতাকর্মীদের দুর্দিনে পাশে থেকে নিজের অবস্থান মজবুত করেছেন, উত্তর জেলার সাবেক সেক্রেটারী জাহাঙ্গীর আলম সরকার। এখন সে ইউসুফ হারুনের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী। এবার এই আসনটি পরিবর্তন হতে পারে। আসবে নতুন মুখ। এমনটাই ধারণা তৃণমূল নেতাকর্মীদের এবং স্থানীয় আওয়ামী কর্মী সমর্থকদের। সবাই মনে করছেন, আওয়ামী লীগের দূরদিনের কান্ডারী জাহাঙ্গীর আলম পেতে পারেন নৌকার মনোনয়ন। তবে জনশ্রুতি আছে মনোনয়ন না পেলেও এবার স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচন করবেন তিনি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কমপক্ষে দশজন আওয়ামী লীগের নেতা বলেন, ইউপি নির্বাচনে একাধিক প্রার্থী থেকে দলীয় মনোনয়ন দেয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেয়া, কোম্পানিগঞ্জ পানি উন্নয়নের জায়গায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করে নতুন দোকান নির্মান করে প্রায় বিশ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে আালোচনায় আছেন ইউসুফ হারুন। তাছাড়া নারী কেলেঙ্কারী ও ইউনিয়ন কমিটি নিয়েও আলোচনার জন্ম দিয়েছেন সে।

অপরদিকে, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি ম.রুহুল আমিনের বাড়িও এই আসনে। তিনিও এবার মনোয়ন পেতে মরিয়া। তার বাবা ওয়ালী আহমেদ এই আসন থেকে নৌকা নিয়ে প্রথম এমপি হয়েছিলেন ১৯৭৫ সালে। বয়সের শেষ বিবেচনায় তিনি এবার জীবনের শেষ ইচ্ছেয় এমপি হওয়ার স্বপ্ন বোনছেন।