পলাশ মণি দাসের পরিচালনায় ‘মূর্খ জামাই’

পলাশ মণি দাসের পরিচালনায় ‘মূর্খ জামাই’

ছোট পর্দার দর্শকপ্রিয় অভনিয় শিল্পী আখম হাসান ও পুনম হাসান জুঁইকে নিয়ে সম্প্রতি নির্মিত হয়েছে টেলিফিল্ম ‘মূর্খ জামাই’। রাজীব মণি দাসের রচনায় টেলিফিল্মটি পরিচালনা করেছেন পলাশ মণি দাস। এর বিভিন্ন চরিত্রে আরো দেখা যাবে- আব্দুল্লাহ রানা, রেশমা আহমেদ, ফাহদিমা তৃশা, নিথর মাহবুব, ফরিদ হোসাইন প্রমুখ।

পরিচালক সূত্রে জানা যায়, টেলিফিল্মটি খুব শিগগিরই যে কোনো একটি স্যাটেলাইট চ্যানেলে প্রচারিত হবে। তারপর টিওটি ড্রামা ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি দেওয়া হবে।

গল্পে দেখা যায়- জালাল ও প্রিয়া ভালোবেসে বিয়ে করে। জালালের বিয়েটা প্রথমে তার শ্বশুর বাড়িতে মেনে নেয়নি, সেজন্য তার এতদিন শ্বশুর বাড়িতে যাওয়াও হয়নি। সব দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভুলে শ্বশুর সবকিছু মেনে নিয়েছে, তাই সে শ্বশুর বাড়িতে যায়। জালালের আচার-আচরণ দেখে রায়হানের কাছে জামাইকে মূর্খ মনে হয়।

যে জামাই হাঁস বললে বাজার থেকে বাঁশ নিয়ে আসে, আর যাই হোক এরকম গন্ড মূর্খ জামাইয়ের সাথে তার মেয়ের সংসার চলতে পারে না। মেয়ে ভুল করতে পারে কিন্তু বাবা হয়ে সে ভুলের পথে আর এগোনো যাবে না।

দুষ্কৃতিকারী দ্বারা জালাল হামলার শিকার হওয়া স্বত্বেও কি কারণে সে বাড়ি থেকে যাচ্ছে না সেটা তার বোধগম্য নয়। তাই সে জালালকে জিজ্ঞাসা করে লজ্জা-শরম বলতে কি তোমার কোনো কিছু নেই? তার প্রত্যুত্তরে জালাল বলে মূর্খ মানুষের আবার লজ্জা শরম কিসের আব্বা, আমিতো মূর্খ মানুষ।

জালালের মূর্খতার কারণে তার একমাত্র শ্যালিকার বিয়ে ভেঙ্গে গেছে। কারণ সে পাত্র পক্ষকে বলেছে টিনার নাকি সমস্যা আছে, তাকে বিয়ে করলে সুখতো দূরের কথা চোখের লোনা জল শুকাবে না জীবনে কোনোদিন। নানা নাটকীয়তায় মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যায় টেলিফিল্মটির গল্প।