চাটখিলে গ্যাস সংকট ক্রমেই তীব্র হচ্ছে

চাটখিলে গ্যাস সংকট ক্রমেই তীব্র হচ্ছে

চাটখিল উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়ন ও চাটখিল পৌর এলাকায় বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড জ্বালানি গ্যাস সরবরাহ করে আসছে। গত দুই মাস ধরে ক্রমেই এসব এলাকার বাসা-বাড়িতে জ্বালানি গ্যাসের সংকট তীব্র হচ্ছে। সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত গ্যাস সংযোগ পুরোপুরি বন্ধ থাকে। এ অবস্থায় রান্নার ব্যাঘাত ঘটায় জনসাধারণ খাদ্যের চাহিদা যথাসময়ে মিঠাতে না পেরে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

সরেজমিনে বিভিন্ন বাসা-বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, গ্যাস সংযোগ না থাকায় রান্না ও দুপুরের খাবারের আয়োজন নেই। চাটখিল পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র আনোয়ার-ই-হাছিনা সহ গৃহকর্মীরা অনেকেই জানান, দুুপুর ২টার পরে গ্যাস এলে তারপর রান্না করতে হচ্ছে। রান্না শেষ করে দুপুরের খাবার খেতে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়। হোটেল ব্যবসায়ীরা জানান, সকালের নাস্তা তৈরি করা যাচ্ছে না। যে কারণে ক্রেতা কমে যাচ্ছে। কর্মচারীদের বেতন দিতে হিমশিমে পড়তে হয়। এই অবস্থা চলতে থাকালে হোটেল ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে।

তবে ছোট হোটেল গুলো ফুটপাতে লাকড়ির চুলায় খাবারের আয়োজন করায় সেখানে মানুষের ভীড় লক্ষ্য করা যায়। কারণ বাসা-বাড়িতে গ্যাস সংকটের কারণে অনেক পরিবারকেই হোটেলের খাবারের উপর নির্ভরশীল হতে হচ্ছে।  

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড নোয়াখালী কার্যালয়ের ডিজিএম সফিউল আলম জানান, নোয়াখালীর ২টি গ্যাস স্টেশনের মধ্যে সুন্দলপুর গ্যাস স্টেশনটি প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার পথে। তাছাড়া শীতের প্রভাব বাড়লে গ্যাসের চাপ কম থাকে। জাতীয়ভাবেই গ্রীডে গ্যাস সংকট থাকায় বর্তমানে এর প্রভাব নোয়াখালীতেও পড়েছে। শীতের প্রভাব কমলে বা উৎপাদন বাড়লে গ্যাস সংকট নিরসন হবে।