চাটখিলে বটবৃক্ষ ধ্বংস করে মার্কেট নির্মাণ কাজ বন্ধের নিদের্শ উপেক্ষিত

চাটখিলে বটবৃক্ষ ধ্বংস করে মার্কেট নির্মাণ কাজ বন্ধের নিদের্শ উপেক্ষিত

চাটখিল পৌর বাজারে শতাব্দীকালের বটবৃক্ষ রাতের আধাঁরে কেটে সরকারি খাস জমিতে মার্কেট নির্মাণ করছে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি চক্র। এতে পৌরবাসী ফেসবুক সহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে অনেকেই পোস্ট করে।

রবিবার (৩০ জুন) সকালে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আকিব ওসমান, ঘটনাস্থলে গিয়ে জমির মালিকানা উপস্থাপন না করা পর্যন্ত মার্কেট নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। এসময় তিনি হুশিয়ারি করে বলেছেন, নির্দেশ উপেক্ষিত হলে উপজেলা প্রশাসন উচ্ছেদ অভিযান শুরু করবে।

তবে দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নির্দেশ উপেক্ষা করে নির্মাণ কাজ চলছে। আশপাশের ব্যবসায়ীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট এসে নির্দেশ দিয়ে চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর থেকে আবার কাজ শুরু হয়েছে। তবে রাতের আধাঁরে পুরোদমে নির্মাণ কাজ চলে।

মার্কেট নির্মাণকারীরা দাবি করছে, তারা তাদের মালিকীয় ভূমিতে মার্কেট নির্মাণ কাজ চালাচ্ছে। মার্কেট নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় প্ল্যান ও অনুমোদন পৌর কর্তৃপক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বলেও তারা দাবি করেন। চাটখিল পৌর সভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন প্ল্যান ও অনুমোদনের বিষয়টি স্বীকার করলেও চলাচলের গলিপথ বিলীন হওয়ার বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি।

এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আকিব ওসমান জানান, মার্কেট নির্মাণ হলে চলাচলের গলিপথ বিলীন হয়ে যাবে। তাই যারা মার্কেট নির্মাণ করছে তাদের কে তাদের জমির মালিকানা সংক্রান্ত কাগজপত্র নিয়ে ভূমি অফিসে আসতে বলা হয়েছে। কাগজপত্র দেখে চলাচলের পথ যেভাবে উন্মুক্ত করা যায় সেই ব্যবস্থা করা হবে। 

নোয়াখালীতে মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ বেগ সড়কের বেহাল দশা

নোয়াখালীতে মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ বেগ সড়কের বেহাল দশা

চাটখিল-খিলপাড়া মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ বেগ সড়কের বেহাল দশা। দীর্ঘ ৭ কি.মি সড়কের চাটখিল দক্ষিণ বাজার থেকে খিলপাড়া বাজার পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৬ কি.মি সড়ক খানাখন্দকে ভরা। ফলে বৃষ্টির কারণে পানি বন্ধী হয়ে চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। প্রতিদিন ছোট-বড় র্দূঘটনা ঘটে চলেছে।

শনিবার (২৯ জুন) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তাটির অনেক স্থানে কার্পেটিং উঠে গেছে। রাস্তার দুপাশের মাটি সরে রাস্তা ভেঙ্গে পড়ছে। যানবাহন চলাচলের উপযোগী না হলেও মানুষ প্রয়োজনের তাগিদে ঝুঁকি ও ভোগান্তির মধ্য দিয়ে চলাচল করতে হয়। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থী সহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের হাজার-হাজার শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের চলাচল করতে হয়। চলাচলের মাধ্যম হিসেবে সিএনজি, অটো রিকশা, হোন্ডা দিয়ে চলাচল করতে হয়। ছোট-বড় র্দূঘটনা সড়কটির নিত্য সঙ্গী। রাস্তাটি ঝুঁকিপূর্ণ বিধায় সিএনজি, অটো রিকশা চালকেরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। ফলে মানুষের ভোগান্তির পাশাপাশি হয়রানিও বাড়ছে।

সিএনজি, অটো রিকশা চালকদের দাবি, সড়কটির বেহাল অবস্থার কারণে গাড়ির যন্ত্রাংশ প্রতিদিনই নষ্ট হচ্ছে। দিনে যা ভাড়া আয় হয়, রাতে তা দিয়ে গাড়ি মেরামত করার পর তাদের সংসার চালাতেও অসম্ভব হয়ে পড়ে। অনেক মালিক লোকসানের ভারে গাড়ি চালানো বন্ধ রেখেছেন বলে চালকেরা দাবি করেন।  

সড়ক ও জনপদ নোয়াখালী (সড়ক বিভাগ) নির্বাহী প্রকৌশলী সৌম্য তালুকদারের সাথে যোগাযোগ করলে, তিনি সড়কটি সংস্কারের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানালেও কবে নাগাদ সড়কটির দরপত্র আহ্বান করা হবে কিংবা সংস্কার কাজ প্রক্রিয়াধীনের অগ্রগতি কতটুকু সেবিষয়ে তিনি নিশ্চিত কিছু বলতে পারেননি।  

চাটখিল বাজারে চুরি-ছিনতাই বেড়েই চলছে

চাটখিল বাজারে চুরি-ছিনতাই বেড়েই চলছে

নোয়াখালীর চাটখিল পৌর বাজারে চুরি-ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদকের উৎপাত অব্যাহত ভাবে বেড়েই চলছে। শুক্রবার রাতে পৌর বাজারের টপ লেডিস, পূর্বালী স্টোর, রানী কসমেটিক সহ ৪টি দোকান চুরি করে ৩ লক্ষাধিক টাকার মালামাল ও নগদ টাকা নিয়ে গেছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা দাবি করেন। এর দুদিন আগে পৌর বাজারের নিউমার্কেটের ১০টি দোকানের মালামাল একরাতে চুরি হয়। এতে ১০/১৫ লাখ টাকার মালামাল ও নগদ টাকা চুরি করে নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ চোর চক্র। 

দুই মাসের মাথায় অন্তত্য ১০/১৫টি চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেও প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এক মার্কেটের ১০টি দোকান একরাতে চুরি করতে দুই-আড়াই ঘন্টা সময়ের প্রয়োজন এই দীর্ঘ সময়ধরে বাজারের নৈশ প্রহরীরা কার নির্দেশে অনুপস্থিত থেকে চোরদের কে চুরি করার সুযোগ করে দিয়েছে। এসব চুরির ঘটনায় পৌর কর্তৃপক্ষের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ। 

চাটখিল পৌর বাজারের টপ লেডিস স্টোরের মালিক ইব্রাহিম খলিল পরাণ তার প্রতিষ্ঠানে ২ মাসের মাথায় ২বার চুরির ঘটনায় ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এসময় তিনি চাটখিল বাজারে সৌর বিদ্যুতের লাইট স্থাপনের দাবি জানান। ইব্রাহিম খলিল পরাণের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, চুরির ঘটনা পৌর মেয়র মো. নিজাম উদ্দিন কে জানালে মেয়র ঢাকায় আছেন জানিয়ে বলেন, তিনি এলাকায় আসলে এবিষয়ে কথা বলবেন। পরে থানার ওসি মুহাম্মদ ইমদাদুল হক ব্যবসায়ীদের থানায় গিয়ে কথা বলতে বলেছেন।

চাটখিল থানার ওসি মুহাম্মদ ইমদাদুল হক শনিবার (২২ জুন) দুপুরে চুরির কথা স্বীকার করে বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষ নৈশ প্রহরীদের যথাযথভাবে মনিটরিং করতে পারলে চুরির ঘটনা কমে আসবে। পাশাপাশি বাজারে বিদ্যুৎ না থাকলে বাজার অন্ধকার হয়ে যায়। এতে চোরেরা চুরি করার সুযোগ পায়। তাই পৌর কর্তৃপক্ষ বাজারে সৌর বিদ্যুৎ লাইট স্থাপন করলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরাল হবে। তিনি প্রয়োজন সাপেক্ষে টহল পুলিশের সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর আশ্বাস দেন।

চাটখিলে একতা ক্লাবের উদ্যোগে ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

চাটখিলে একতা ক্লাবের উদ্যোগে ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

নোয়াখালী চাটখিল উপজেলার রমাপুর-বক্তারপুর-গোবিন্দপুর রাবেয়া সুপার মার্কেট একতা ক্লাবের আয়োজনে ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা বুধবার (১৯ জুন) বিকেলে স্থানীয় মসজিদ সংলগ্ন মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।

খেলা ১-০ গোলে কিরণ ভূঁইয়া একাদশ কে পরাজিত করে সোহাগ একাদশ টিম চ্যাম্পিয়ান হয়। 

আয়োজিত খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিল্পপতি দানবীর আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইউসুফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ৭নং হাটপুকুরিয়া-ঘাটলাবাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস.এম বাকী বিল্লাহ ও চাটখিল পৌর সভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সালেহ আহমেদ সুমন ও সাবেক কাউন্সিলর মমিনুল ইসলাম দুলাল। অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক মো. দুলাল, উদীয়মান সমাজ সেবক কাউছার আহম্মেদ কাজল, আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান (মিজান) প্রমুখ।

খেলা শুরুর আগে উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শিল্পপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, যুব সমাজ কে মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা করতে সামাজিক সংগঠন গুলোর উদ্যোগে সুস্থ বিনোদনের অংশ হিসেবে খেলাধুলার আয়োজনের বিকল্প নেই। আজকের যুব সমাজ আগামী দিনের জাতিকে নেতৃত্ব দিবে। তাই এই প্রজন্ম কে মেধা বিকাশে ও শারীরিক গঠনে যোগ্য করে তুলতে নানামূখী কর্মসূচি পালন করতে একতা ক্লাবকে উৎসাহিত করেন। এসময় তিনি ফুটবল খেলার উদ্যোগ গ্রহন করায় মো. দুলাল কোম্পানীকে ধন্যবাদ জানিয়ে একতা ক্লাবের কর্মকান্ডে আরো অধিক সহযোগিতা করার ঘোষণা দেন। 

চাটখিলে ঢেউটিন চেক ও নগদ অর্থ বিতরণ 

চাটখিলে ঢেউটিন চেক ও নগদ অর্থ বিতরণ 

দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে চাটখিলে ৩২জন দুস্থ- অসহায়দের মাঝে  ঢেউটিন ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সন্ধ্যার আগে চাটখিল উপজেলা পরিষদের সভা কক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাংসদ এইচ.এম ইব্রাহিম। এসময় তিনি তার ঐচ্ছিক তহবিল থেকে ৩৪ জনের মাঝে ১লাখ ৫৮ হাজার টাকার চেক বিতরণ করেন।   

বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন চাটখিল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আকিব ওসমান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ খন্দকার মোশকাত আহমেদ, পৌর মেয়র মো. নিজাম উদ্দিন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এইচ.এম আলী তাহের ইভু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. বেলায়েত হোসেন, সাধারন সম্পাদক নাজমুল হুদা শাকিল, থানার ওসি মুহাম্মদ ইমদাদুল হক, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ ও ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

চাটখিলে চাহিদার চেয়ে গবাদি পশু অধিক: তুলনামূলক দাম কম

চাটখিলে চাহিদার চেয়ে গবাদি পশু অধিক: তুলনামূলক দাম কম

চাটখিল উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও চাটখিল পৌর সভায় কুরবানির জন্য চাহিদার চেয়ে অধিক গবাদি পশু রয়েছে। উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় এগ্রো ফার্ম ও গৃহ পালিত গবাদি পশু রয়েছে ১১হাজার ২১৩টি। কুরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ১১হাজার ২৪৫টি।

এছাড়া মৌসুমী ব্যবসায়ীদের আনীত গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া এবছর চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি রয়েছে। ফলে পশুর দাম অন্য বছরের তুলনায় এবার অনেকটা কম বলে ক্রেতা-বিক্রেতারা মনে করছে। পশুর হাট ঘুরেও দেখা যায়, আমাদের উপস্থিতিতে যেসব পশু বিক্রি হয়েছে এসব ক্রেতারা দাম নাগালের মধ্যে রয়েছে বলে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

উপজেলার পরকোট-দশঘরিয়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ভ্রাম্যমান পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায় হাজার-হাজার গরু ভর্তি মাঠটি। ক্রেতার চেয়ে গরুর সংখ্যা অধিক। ফলে দামে সস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে ক্রেতারা। তবে বিক্রেতারা বলছে শেষ পর্যন্ত তাদের অনেক পশু অবিক্রিত থেকে যাবে। কারণ চাহিদার চেয়ে গরু, মহিষ ও ছাগল কয়েক গুন বেশি। ভীমপুর টেকনিক্যাল কলেজের প্রভাষক জসিম মাহমুদ জানান, গত কয়েক বছরের চেয়ে এবছর পশুর সংখ্যা বেশি হওয়ায় দাম অনেকটা কম। তাই অনেকেই এবছর আগে-ভাগেই পশু কিনে ফেলছে।        

উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. শাহাদাত হোসেন বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেলে জানান, চাটখিলে বিভিন্ন এগ্রো ফার্ম ও গৃহে পালিত ৪৪৩৬টি ষাঁড়, ৬৮৩টি বলদ, ৩৬৮টি গাভী, ২৬টি মহিষ, ৫৬৫৭টি ছাগল, ৪৩টি ভেড়া রয়েছে। এছাড়া মৌসুমী ব্যবসায়ীদের আনীত গরু, মহিষ, ছাগল রয়েছে কয়েক লাখ। সব মিলিয়ে চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি পশু রয়েছে বলে তিনি জানান।  

নোয়াখালীতে শিশু নির্যাতন ও ধর্ষন প্রতিরোধে পুলিশের মতবিনিময় সভা

নোয়াখালীতে শিশু নির্যাতন ও ধর্ষন প্রতিরোধে পুলিশের মতবিনিময় সভা

নোয়াখালীর চাটখিল থানা পুলিশের আয়োজনে হাফেজিয়া ও কাওমী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ও কমিটির সদস্যদের নিয়ে শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষন প্রতিরোধে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বুধবার (১২ জুন) দুপুরে চাটখিল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ ইমদাদুল হকের সভাপতিত্বে থানা কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) বিজয়া সেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার (চাটখিল সার্কেল) নিত্যানন্দ দাস। মতবিনিময় সভায় কমিউনিটি পুলিশিং পৌর সমন্বয় কমিটির সভাপতি সাবেক কমিশনার মমিনুল ইসলাম দুলাল সহ  বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে উপস্থিত হাফেজিয়া ও কাওমী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ও কমিটির সদস্যগণের উদ্দেশ্যে শিশু নির্যাতন এবং ধর্ষন ও বলৎকারের বিষয়গুলো প্রতিরোধের ব্যাপারে আরো নজরদারি বাড়ানোর জন্য গুরুত্বারোপ করেন। বিশেষ অতিথি নিত্যানন্দ দাস এসব অপরাধের ব্যাপারে সকল ইউনিয়ন পর্যায়ে বিট পুলিশিংয়ের প্রতি জোর দিতে বলেন এবং অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এছাড়াও অন্যান্য বক্তারা এই অপরাধ যেনো চাটখিলে আর না ঘটে এ ব্যাপারে  সতর্ক দৃষ্টি রাখবেন বলে জানান।

নোয়াখালীতে অগ্নিকান্ডে ৭ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাঁই 

নোয়াখালীতে অগ্নিকান্ডে ৭ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাঁই 

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার সাহাপুর বাজারে শনিবার দুপুরে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় মনির সু-স্টোর, শর্মা ফার্মেসী, নোয়াখালী ফার্নিচার, বনিক ক্রোকারিজ, দীপক বনিক স্টোর, অঙ্কিতা জুয়েলার্স ও হারাধনের পান দোকান পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়। 

এতে ২৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা দাবি করেন। অগ্নিকান্ডের সংবাদ পেয়ে চাটখিল ফায়ার স্টেশনের ফায়ার কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘন্টাখানেক চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। 

চাটখিল ফায়ার সার্ভিস স্টেশন লিডার আবুল কালাম জানান, অগ্নিকান্ডের সময় বাজারে বিদ্যুৎ ছিল না। তখন বৈদ্যুতিক জেনারেটর চালু ছিল। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে জেনারেটরের শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়েছে। তবে অগ্নিকান্ডে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় মা সহ নবজাতকের মৃত্যু

নোয়াখালীতে ভুল চিকিৎসায় মা সহ নবজাতকের মৃত্যু

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার খিলপাড়ায় ওয়াহাব-তৈয়েবা মেমোরিয়াল হাসপাতালে সিজার অপারেশনের সময় ভুল চিকিৎসায় মা ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

এই ঘটনায় নিহত সামিয়া আক্তার (২৫) উপজেলার খিলপাড়া ইউনিয়নের দত্তেরবাগ গ্রামের নতার বাড়ির মো. মুরাদের স্ত্রী। চাটখিল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ ইমদাদুল হক শনিবার (০৮ জুন) সকালে জানান, এই ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে এবং মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।  

নিহতের স্বামী মুরাদ অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে তার স্ত্রী সামিয়া কে তিনি ওয়াহাব তৈয়েবা মেমোরিয়াল হসপিটালে নিয়ে আসেন। পরে দুপুর ২টার দিকে ডাক্তার ফারহানা তাকে সিজার করেন। সেখানে অপারেশনের আগে অ্যানেসথেসিয়া ডাক্তার ছাড়া হসপিটালের জরুরী বিভাগের ডাক্তার দিয়ে ভুলভাবে সামিয়ার শরীরে অ্যানেসথেসিয়া প্রয়োগ করা হয়। এতে সঠিকভাবে রোগীর শরীরে অ্যানেসথেসিয়া প্রয়োগ করা যায়নি। পরবর্তীতে সিজার করে, নবজাতককে পেট থেকে বের করেনি। রোগী মারা যাওয়ায় পুনরায় সিজারের স্থানে সেলাই দিয়ে আমাদের কে কুমিল্লা পাঠায়। তিনি আরও বলেন, পরে সন্ধ্যার দিকে তারা সামিয়ার মরদেহ নিয়ে হাসপাতালের সামনে আসলে। ওই সময় স্থানীয় নেতৃবৃন্দ জানায় এই ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। পরে পুলিশ মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য তাদের হেফাজতে নেয়।

এবিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা জানতে চাইলে, ওয়াহাব তৈয়েবা মেমোরিয়াল হাসপাতালের ম্যানেজার মহিউদ্দিন রাসেল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাদের অ্যানেসথেসিয়া ও সার্জন দুজনই অভিজ্ঞ ছিলেন। তারা গত ১০ মাস যাবত এখানে অপারেশন করে আসছেন। রোগীর অ্যানেসথেসিয়া করা হলে রোগী হার্ট স্ট্রোক করে। এই কারণে আর সিজার করা যায়নি। স্ট্রোক করার কারণে যেহেতু আইসিইউ সাপোর্ট লাগবে। তাই রোগীকে এখানে আর রাখা হয়নি। উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা শহর মাইজদীতে পাঠানো হয়। সেখান থেকে রোগীর স্বজনেরা তাকে কুমিল্লা নিয়ে যায়।   

চাটখিলে দুর্নীতি বিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতা

চাটখিলে দুর্নীতি বিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতা

মূল্যবোধ ও দেশপ্রেমের অভাবেই দুর্নীতির বিস্তার ঘটে শীর্ষক বিষয়ে চাটখিল উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে ও নোয়াখালী জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত কার্যালয়ের আয়োজনে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে এক বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বুধবার (০৫ জুন) দুপুরে চাটখিল উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মফিজ উল্যার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ এহসান উদ্দীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশন নোয়াখালী কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক আরিফ আহম্মদ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আহসান উল্যা চৌধুরী, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফারুক সিদ্দিকী ফরহাদ। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চাটখিল উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ এহসান উদ্দীন বলেন, ‘বিতর্ক শিক্ষার্থীদের মেধাবিকাশে সহায়তা করে। বিতার্কিকরাই দেশের বিভিন্ন পর্যায়ে দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। বিতর্ক চর্চাকে উদ্বুদ্ধ করতে চাটখিল উপজেলায় শীঘ্রই একটি বিতর্ক সংগঠন তৈরি করা হবে।

বিতর্ক প্রতিযোগিতায় উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের  ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতায় ভীমপুর বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় চ্যাম্পিয়ান ও  সোমপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রানার্স-আপ হয়। বিজয়ী ও রানার্স আপ দলের সদস্যদের হাতে ক্রেস্ট এবং শিক্ষা সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। এছাড়াও অংশগ্রহণকারী  সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সদস্য মনিরুল কামাল, সাহেলা পারভীন, হাছিনা আক্তার, মহি উদ্দিন বাবু, মো. আবুল কালাম আজাদ সহ বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

চাটখিলে ধর্ষন ও বলৎকারের অভিযোগে দুইজন গ্রেফতার: একজন পলাতক

চাটখিলে ধর্ষন ও বলৎকারের অভিযোগে দুইজন গ্রেফতার: একজন পলাতক

চাটখিল উপজেলার তালতলা মারকাজুল কুরআন মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের এক ছাত্রকে বলৎকারের অভিযোগে ঐ মাদ্রাসার পরিচালক আবুল কালাম কে পুলিশ গ্রেফতার করে। অপরদিকে চাটখিল মহিলা ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেনীর এক শিক্ষার্থীকে ৮দিন আগে ধর্ষন করার অভিযোগ রবিবার সন্ধ্যায় পেয়ে তাৎক্ষনিক পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত নুর হোসেন পলাশ কে গ্রেফতার করে।

এদিকে চাটখিল পৌর বাজারের নাইট গার্ড মো. মিলনের মেয়ে চাটখিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে স্কুল থেকে বাড়িতে যাওয়ার পথে দশানী টবগা খাদুয়া বাড়ির আবদুল মান্নানের ছেলে রিফাত হোসেন (২১) জোরপূর্বক তুলে নিয়ে ধর্ষন করার অভিযোগে থানায় মামলা হলেও পুলিশ রিফাত কে ৮দিনেও গ্রেফতার করতে পারেনি।

বলৎকারের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত আবুল কালাম পাঁচগাঁও ইউনিয়নের আফসারখিল হাছেন গাজী বেপারী বাড়ির আবুল কাশেমের ছেলে। ধর্ষনের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত পলাশ চাটখিল পৌর শহরের দশানী টবগা এলাকার গনি মিয়া বাড়ির খোরশেদ আলমের ছেলে।  গ্রেফতারকৃত পলাশ ও আবুল কালাম কে সোমবার (০৩ জুন) দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়।  

চাটখিল থানার ওসি (তদন্ত) বিমল কর্মকার জানান, নুর হোসেন পলাশ ও আবুল কালামের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হওয়ার পর তাদের কে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আদালত উভয়কে কারাগারে প্রেরণের আদেশ প্রদান করে। অপরদিকে রিফাত হোসেনের নামে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। তবে রিফাত পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা যায়নি। তাকে গ্রেফতারের প্রচেষ্টা চলছে। 

চাটখিলে এই প্রথম ডায়মন্ড শো-রুম উদ্বোধন

চাটখিলে এই প্রথম ডায়মন্ড শো-রুম উদ্বোধন

চাটখিল পৌর শহরের জোনাকি সুপার মার্কেটের নিচ তলায় এই প্রথম একটি ডায়মন্ড শো-রুম উদ্বোধন করা হয়েছে। রোববার দুপুরে চাটখিল পৌর মেয়র মো. নিজাম উদ্দিন নিউ আপন ডায়মন্ড এন্ড গোল্ড শো-রুমের উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চাটখিল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক নাজমুল হুদা শাকিল, ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহমুদ হোসেন তরুণ, চাটখিল পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন চৌধুরী, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি-বাসাস চাটখিল উপজেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক সাঈদ মোহাম্মদ তুষার, পৌর বাজারের ব্যবসায়ী ইব্রাহিম খলিল পরান, গাজী রুবেল, পৌর মার্কেটের  ব্যবসায়ী সোহেল রানা সহ বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নিউ আপন ডায়মন্ড এন্ড গোল্ড শো-রুমের মালিক মো. আমির হোসেন আপন বলেন, তিনি চাটখিলের স্পেশাল ক্রেতাদের কথা চিন্তা করে প্রথমবারের মত চাটখিল পৌর শহরের ডায়মন্ড শো-রুমের কার্যক্রম চালু করেছেন। এই অঞ্চলে কোন ডায়মন্ড শো-রুম না থাকায় মানুষে ঝুঁকি নিয়ে ঢাকা থেকে ডায়মন্ড ক্রয় করতে হয়। সেই ঝুঁকি ও কষ্ট দূর করতেই চাটখিলে ডায়মন্ড শো-রুম উদ্বোধন করা হয়েছে। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন তার শো-রুমে সুলভ মূল্যে ডায়মন্ড ও গোল্ড ক্রয় করা যাবে।

চাটখিল পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক কমিটি গঠিত

চাটখিল পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক কমিটি গঠিত

চাটখিল উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়েছে।

শনিবার (০১ জুন) রাতে চাটখিল পৌর শহরের শ্রী শ্রী গৌর নিতাই সেবা আশ্রম মন্দিরে এক বর্ধিত সভা শেষে উপজেলার সকল মন্দিরের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকবৃন্দ সম্মতিতে নারায়ণ চন্দ্র পাল কে আহ্বায়ক ও মানিক চন্দ্র দেবনাথ কে সদস্য সচিব করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়। 

এসময় নোয়াখালী জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি কিশোর চন্দ্র শীল ও সাধারন সম্পাদক রতন কৃষ্ণ পাল উপস্থিত ছিলেন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চাটখিল উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি সমীর চক্রবর্তী, সাধারন সম্পাদক তপন কুরী সহ নেতৃবৃন্দ।

নগরায়ণের সুবিধা পেতে যাচ্ছে চাটখিলের জনসাধারন 

নগরায়ণের সুবিধা পেতে যাচ্ছে চাটখিলের জনসাধারন 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত গ্রাম হবে শহর বাস্তবরূপ নিতে যাচ্ছে নোয়াখালীর চাটখিল-সোনাইমুড়ী-রামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণের অনুমোদনের মধ্য দিয়ে।

মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় ১১ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এই ১১ প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে চাটখিল-সোনাইমুড়ী-রামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ। 

একনেক সভায়, সোনাইমুড়ী-রামগঞ্জ ভায়া চাটখিল আঞ্চলিক মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের বিষয়টি মঙ্গলবার রাতে নিশ্চিত করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনের সংসদ এইচ.এম ইব্রাহিম। এসময় তিনি বলেন, এই সড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল। সড়কটি একনেক সভায় অনুমোদন হওয়ায় তিনি, একনেক চেয়ারপার্সন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি চাটখিল-সোনাইমুড়ী বাসীর পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতার সাথে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।  

চাটখিল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ালী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর কবির তার ব্যবসায়ীক কাজে চীনে অবস্থান করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি বেলায়েত হোসেনের সঙ্গে যোগযোগ করলে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন গ্রাম হবে শহর। এই ঘোষণার সুফল সারাদেশের ন্যায় চাটখিল-সোনাইমুড়ী-রামগঞ্জ অঞ্চলের মানুষও পেতে যাচ্ছে। সড়কটি চার লেনে উন্নীত হলে নগরায়ণের সুবিধা পাবে গ্রামের মানুষ। 

আওয়ামী লীগ সরকার যোগাযোগ ব্যবস্থায় অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে। চাটখিল-সোনাইমুড়ী অঞ্চলের মানুষ কে এই সাফল্যের সুফল দিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য এইচ.এম ইব্রাহিম একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি নির্বাচিত হলে সড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণের চেষ্টা করবেন। তিনি তার প্রতিশ্রুতি রক্ষায় কাজ করায় চাটখিল উপজেলার সর্বসাধারণের  পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। 

এই অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বললে সকলেই সরকারের উন্নয়নে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, সড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণের দাবি র্দীঘদিনের। অবশেষে একনেক সভায় সড়কটি অনুমোদন হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান। 

নোয়াখালীতে প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

নোয়াখালীতে প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার শাহাপুর বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোরশেদ আলম স্বপন ক্রমেই স্বেচ্ছাচারিতায় বেপরোয়া হয়ে উঠছেন। স্কুল এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা হওয়ায় তার প্রভাব যেন বেড়ে গেছে কয়েকশত গুণ। একদিকে স্কুলের প্রধান শিক্ষক, অপর দিকে তিনি স্থানীয়। ফলে তিনি ধরা কে সরা জ্ঞান মনে করেন। স্কুলের শিক্ষক, কর্মচারী, শিক্ষার্থী, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য এমনকি অভিভাবকরা তার কাছে লাঞ্চিত-অপমানিত হতে হয়। স্কুলের আশপাশের ব্যবসায়ীরাও তার কাছে জিম্মি।
 
স্কুলের ৮ম শ্রেনীর এক শিক্ষার্থীকে বেধম পিটিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করার ঘটনায় শিক্ষার্থীর মা প্রধান শিক্ষক মোরশেদ আলম স্বপনের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে, তিনি ঐ শিক্ষার্থীর মাকে বেয়াদব বলে গালি দিয়ে অফিস থেকে হুমকি-ধামকি দিয়ে বের করে দেন। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করে। শিক্ষার্থীদের দাবি প্রধান শিক্ষক মোরশেদ আলম স্বপন কে অপসারণ না করা হলে তারা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করবে।
 
শনিবার (২৫ মে) দুপুরে প্রধান শিক্ষক মোরশেদ আলম স্বপনের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে, তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে সরেজমিনে গিয়ে স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কয়েকজন অভিভাবকের সাথে কথা বললে, সকলে এক বাক্য দাবি তোলে প্রধান শিক্ষকের অপসারণ চাই। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষক বলেন, শিক্ষার্থীদের মারধর করা সরকারি ভাবে বিধি-নিষেধ থাকলেও প্রধান শিক্ষক ঐ বিধি-নিষেধের কোন তোয়াক্কা করেন না। তিনি শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে একই আচরণ করেন। অভিভাবকরা জানান, যেখানে কিশোর গ্যাং ও মাদকে ধ্বংসের দিকে চলে যাচ্ছে কিশোর-কিশোরীরা। সরকার মাদকের ছোবল থেকে কিশোর-কিশোরীদের ফিরাতে নানামূখী উদ্যোগ গ্রহন করছে। তারমধ্যে অন্যতম একটি সুস্থ বিনোদন খেলাধুলা। অথচ স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্কুল ছুটির পর স্কুলের প্রধান গেইট বন্ধ করে দিয়ে শিক্ষার্থীদের কে খেলাধুলা করতে দেয় না। এবিষয়ে তার কাছে অভিভাবকেরা জানতে চাইলে তিনি অভিভাবকদের কে বাড়িতে মাঠ তৈরি করে ছেলে-মেয়েদের খেলার ব্যবস্থা করতে বলেন।

অপরদিকে স্কুলের পিছনে হিন্দু সম্প্রদায় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর চলাচলের পথ বন্ধ করে দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক। অথচ এই হিন্দু সম্প্রদায়ের পূর্ব পুরুষ সুধন্য কুমার দাস বিদ্যালয়ের জন্য ৪২ শতক ভূমি দানপত্র দলিলের মাধ্যমে দান করে গেছেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক আজ তার প্রজন্মের চলাচলের পথ বন্ধ করে অবরুদ্ধ করে রাখছেন প্রায় ২০/২৫টি পরিবার কে। অপর দিকে সুধন্য কুমার দাসের নাতবৌ এই বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক। তিনিও ঐ পরিবার গুলোর মত করে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাচ্ছেন।

পরে বিদ্যালয়ের সভাপতি শেখ ফরিদের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে, তিনি প্রধান শিক্ষকের স্বেচ্ছাচারিতার কথা স্বীকার করে, তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত সকল অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

চাটখিলে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান

চাটখিলে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান

বৃটেনের ম্যানচেস্টার মেট্রোপলিটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গর্ভনর আলহাজ্ব মো. হাবীবুল্লাহ’র প্রতিষ্ঠিত নোয়াখালীল চাটখিল উপজেলার দাওয়াতুল ঈমান মডেল বিজ্ঞান কারিগরি দাখিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে কৃতকার্য হওয়া শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।শনিবার (২৫ মে) দুপুরে মাদ্রাসা মাঠে মাদ্রাসার সভাপতি মো. শাহ আলমের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বক্তব্য রাখেন, চাটখিল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আহসান উল্যা চৌধুরী, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহমুদ হোসেন তরুণ, জয়াগ কলেজের প্রভাষক ফিরোজ আলম, মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মহি উদ্দিন প্রমুখ। এছাড়া আরবী বক্তব্য রাখেন মাদ্রাসার ১০ শ্রেনীর শিক্ষার্থী ওসমান গনি এবং ইংরেজি বক্তব্য রাখে মাদ্রাসার ১০ শ্রেনীর শিক্ষার্থী সাখাউতুন নিস্ হা।  

সভা শেষে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ছাত্র ফাহিমুল হাসান কে সহ এ-গ্রেডে উর্ত্তীণ আট শিক্ষার্থীকে সম্মাননা ক্রেস্ট এবং উর্ত্তীণ সকল শিক্ষার্থীকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়।  

চাটখিলে শিক্ষার মানোন্নয়নে সভা

চাটখিলে শিক্ষার মানোন্নয়নে সভা

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার কড়িহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার মানোন্নয়নে শনিবার (১৮ মে) দিন ব্যাপী অভিভাবক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনির হোসেনের সভাপতিত্বে ও দাতা সদস্য মাসুদ উদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের সভাপতি সমাজ সেবক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বেলাল।

সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিল সোহাগ, বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎসাহী সদস্য আকবর হোসেন মিঠু, সমাজ সেবক বাহার উদ্দিন, সাহিত্যিক রুহুল আমিন বাচ্চু, অভিভাবক সদস্য শাহরিয়ার রশিদ খসরু ও দেলোয়ার হোসেন, সহকারী প্রধান শিক্ষক ইমাম হাসান, এডভোকেট রুবামা সুইটি। অভিভাবকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শহিদ উল্যাহ ভান্ডারী ও আব্দুল মান্নান।

চাটখিলে শিক্ষার মানোন্নয়নে সভা
চাটখিলে শিক্ষার মানোন্নয়নে সভা

সভায় বিদ্যালয়ের নবনির্বাচিত কমিটির সদস্যবৃন্দ শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে বলেন, শিক্ষার মানোন্নয়নে যা কিছু করণীয় তার সব কিছুই করা হবে। এসময় তারা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, কোন শিক্ষার্থী রাজনৈতিক নেতাদের প্রভাব দেখাতে পারবে না। এসএসসি পরীক্ষার আগে মূল্যায়ন পরীক্ষায় কেউ ফেল করলে তাকে কোন সুপারিশে ফরম ফিল-আপ করার সুযোগ দেওয়া হবে না।

সুতারাং পড়াশোনা ব্যতিত এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ নাই। বক্তরা অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, শিক্ষার্থীকে যেনতেন ভাবে স্মার্ট ফোন ব্যবহার করতে দেওয়া যাবে না। ইন্টারনেট থেকে কিছু জানতে হলে অভিভাবকদের তত্ত্বাবধানে জানতে হবে। শিক্ষক-শিক্ষাথী অভিভাবক ও পরিচালনা কমিটির  যৌথ প্রচেষ্টায় শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব।     

চাটখিলে দুই কলেজের শিক্ষকদের প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব না দেওয়ার দাবি

চাটখিলে দুই কলেজের শিক্ষকদের প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব না দেওয়ার দাবি

চাটখিল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুই কলেজের শিক্ষকদের প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব না দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতিকের প্রার্থী জেড.এম আজাদ খান। তিনি শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে সাংবাদিকদের জানান, চাটখিল মহিলা ডিগ্রি কলেজের সভাপতি বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান দোয়াত কলমের প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির।

তাই ঐ কলেজের শিক্ষকদের প্রিজাইডিং অফিসার নিয়োগ দিয়ে নির্বাচনে ভোটে জালিয়াতি করতে বাধ্য করা হবে এবং খিলপাড়া আবদুল ওহাব ডিগ্রি কলেজের শিক্ষকগণও সরাসরি তার সমর্থনে রয়েছে। ফলে এই দুই কলেজের শিক্ষকদের কোন ভাবেই নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব রাখঅ যাবে না। যদি রাখা হয় তাহলে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

জেড.এম আজাদ খান আরো জানান, তিনি নির্বাচনী কর্মকান্ড শুরু করার পর থেকে তার নির্বাচনী কর্মীদের কে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি এমনকি প্রাণ নাশেরও হুমকি দেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে রিটার্নি কর্মকর্তা, সহকারী রিটার্নিয় কর্মকর্তা ও থানা পুলিশে অভিযোগ করেও তিনি কোন প্রতিকার পাননি। পরবর্তীতে তিনি চাটখিল পৌরসভাস্থ ছয়ানী টবগা এলাকায় নির্বাচনী সমাবেশ করার আগে পুলিশ কর্তৃক লিখিত অনুমতি নিয়েছেন। সভা শুরু আগে থানর ওসিকে পরপর দুবার তিনি ফোন দিয়ে পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থার অনুরোধ করলেও সভা শুরুর পরেও পুলিশ কোন ধরেন নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়নি। পরবর্তীতে ওসি কে বারবার ফোন দিলেও তিনি প্রার্থীর মুঠো ফোন নাম্বারের কল রিসিভ করেননি।

এতে প্রার্থী তার এক সমর্থকের মোবাইল থেকে ওসি কে কল দিলে ওসি ফোন রিসিভ করেন এবং প্রার্থী নিজের পরিচয় দেওয়ার পর ওসি ব্যস্ত আছেন ফোর্স পাঠানো হবে বলে ফোনের সংযোগ কেটে দেন। কিন্তু কোন ফোর্স পাঠানো হয়নি। পরবর্তীতে প্রতিপক্ষ প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবিরের সমর্থকেরা তার নির্বাচনী সভা পণ্ড করে দেয়।

এরপর পুলিশ কে আবার ফোন দিলে পুলিশ তখনও সময় ক্ষেপন করে ঘটনাস্থলে আসে। পুলিশের এমন পক্ষপাতিত্ব আচরণে দুঃখ প্রকাশ করে জেড.এম আজাদ খান অবাধ, সুষ্ঠ নির্বাচনের স্বার্থে চাটখিল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ইমদাদুল হকের অপসারণের দাবি জানিয়ে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতিকের প্রার্থী জেড এম আজাদ খান প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছেন।

আজাদ খান বলেন, দোয়াত কলম প্রতিকের প্রার্থী (বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান) জাহাঙ্গীর কবিরের পক্ষে থানার ওসি সরাসরি অবস্থান নিয়েছেন বলে তার কর্মকান্ডে প্রতীয়মান হয়। ওসি তার দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা হারিয়েছেন। যাহা সুষ্ঠ-নিরপেক্ষ ভোটের পরিবেশে বাঁধা সৃষ্টি করবে বলে তিনি দাবি করেন।

এসময় তিনি আরো বলেন, তিনি এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগের প্রতিকার পাননি। নির্বাচনের আগে যদি থানার ওসি ইমদাদুল হক কে অপসারণ না করা হয় এবং দুই কলেজের শিক্ষকদের প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া না হয়। তবে তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে চাটখিল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহন সহ যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবি জানাতে বাধ্য হবেন। 

আওয়ামী লীগ সভাপতি’র বিজয়ের লক্ষ্যে চাটখিল উপজেলা আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ

আওয়ামী লীগ সভাপতি’র বিজয়ের লক্ষ্যে চাটখিল উপজেলা আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ

চাটখিল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দোয়াত কলম প্রতিকে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির টানা তৃতীয়বারের মত নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. বেলায়েত হোসেন জানান, নির্বাচনে প্রার্থীরা প্রতীক পাওয়ার পর উপজেলা আওয়ামী লীগ পরিবারের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরামে নির্বাচনে দলীয় প্যানেল ঘোষণা দেয় হয়।

এতে দলীয় ভাবে চেয়ারম্যান পদে জাহাঙ্গীর কবির (দোয়াত কলম), ভাইস চেয়ারম্যান পদে এইচ.এম আলী তাহের (উড়ো জাহাজ) ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রোজিনা আক্তার (কলস) প্রতীক কে সর্মথন দিয়ে তাদের বিজয়ের লক্ষ্যে পাড়া-মহল্লায় ভোটারদের কাছে গিয়ে সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সকল সংগঠনের নেতারা উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে দলীয় প্যানেল কে ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে ভোটারদের আহ্বান জানান। তবে দলীয় প্যানেলে থাকায় সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন এইচ.এম আলী তাহের। 

শুক্রবার (১৭ মে) সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ভোটারদের অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায়, জাহাঙ্গীর কবির দুই মেয়াদে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন কালে কোন ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার সৃষ্টি হয়নি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে তেমন কোন অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগ না থাকায় ভোটাররা তার প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করে। জাহাঙ্গীর কবিরের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে ছাত্র লাীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক নেতা জেড. এম আজাদ খান। তবে তিনি গুটি কয়েকটি কেন্দ্রে নির্বাচনী কেন্দ্র কমিটি দিলেও সিংহভাগ কেন্দ্রে কোন কমিটি দিতে পারেননি। এতে তার ভোটের লড়াইয়ে শক্ত অবস্থান বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।

অপরদিকে এইচ.এম আলী তাহেরের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চাটখিল পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র আহসান হাবীব সমীর (তালা) ও চাটখিল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সাবেক পরিচালক মো. সামছুল আলম (চশমা) প্রতীকে ভোটের মাঠে রয়েছেন। তারা উভয়েই দিন-রাত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দলীয় কয়েকজন নেতাকর্মীকে নিয়ে নিজের পক্ষে গণসংযোগ করে আসছেন।

এছাড়া উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে রোজিনা আক্তার (কলস) প্রতিকে বর্তমানে ভোটের মাঠে একক রয়েছেন। তার সঙ্গে নির্বাচন কমিশনে কাগজে- কলমে উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি শামীমা আক্তার মেরী (ফুটবল) প্রতিকে থাকলেও তিনি ভোটের মাঠে নিষ্ক্রিয়। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনেও শামীমা আক্তার মেরী নিজের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। তবে উপজেলা আওয়ামী লীগ কর্তৃক দলীয় প্যানেল ঘোষণার পর শামীমা আক্তার মেরী নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে যান।