আমার প্রাপ্তি ভিউ দিয়ে নয়, মন্তব্য দিয়ে– সৈয়দ নাফিস

আমার প্রাপ্তি ভিউ দিয়ে নয়, মন্তব্য দিয়ে– সৈয়দ নাফিস

বর্তমান সময়ের একজন গায়ক সৈয়দ নাফিস। তিনি একাধারে তিনি গীতিকার , সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক ও গায়ক। জাহিদ প্রীতমের তিলোত্তমা নাটকে তাঁর গানগুলো বেশ জনপ্রিয়তা পায়। সেসব গান দর্শকমহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। এ-সব নিয়ে কথা বলেছেন বর্তমান আলোর সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সেলিম হাসান

আপনার গান লেখা শুরু হয় কিভাবে?
২০০৩-৪ এর দিকে মোহাম্মদপুরের একটা গানের স্কুলে গান শিখতাম, অন্যের গান গাইতে ভাল্লাগতোনা দেখে আমি আর আমার এক বন্ধু মিলে গান লেখা আর সুর করা শুরু করি, তখন তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ি বোধহয়। শুরু থেকেই প্রেমের গান লেখার দু:সাহস করতাম।

এ পর্যন্ত আপনার কতগুলো গান লেখা হয়েছে?
প্রকাশিত এবং প্রশংসা কুড়ানো গান বেশিরভাগ নাটকের ই। ১০ টির উপরে গান আমার লেখা ও সুর করা এবং সংগীতায়োজন করা। আর অপ্রকাশিত গানের সংখ্যা অগণিত!

বর্তমানে আপনার ব্যস্ততা কেমন?
ব্যস্ততা প্রচুর, সময় ২৪ ঘন্টাও কম মনে হয়। আমি আপাতত নাটকের পরিচালকদের ‘না’ বলতে গিয়ে বিপাকে পড়ছি। গল্প ভালো না লাগলে কাজ করছিনা। পাশাপাশি পরিচিত ব্র‍্যান্ড দের জিংগেল, ওভিসি, টিভিসি মিউজিক করছি। সামনে একটি সিনেমার ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরিং করবো।

জাহিদ প্রীতমের ‘তিলোত্তমা’ নাটকে আপনার কথা ও সুরে প্রতিটি গানে দর্শকরা ভীষণ মুগ্ধ হয়েছে। কেমন অনুভব করছেন?
আমার জন্য প্রাপ্তি ভিউজ দিয়ে নয়, মন্তব্য দিয়ে। কমেন্টের লেখা পড়লে বোঝা যায় যে, কে মন থেকে লিখছে আর কার প্রশংসা মেকি। আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি আমার লেখা সুরের জন্য যে ভালোবাসা আমাকে জাহিদ প্রীতম ভাই তার টিম এবং দর্শক দিচ্ছেন তা অভাবনীয়। তারা আমাকে এতটাই ভালোবাসে যে ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরিং এর জন্যও প্রশংসা পাই, যা আশীর্বাদের মত লাগে। আমার একটা শ্রোতামহল আছে কলকাতা এবং আসামে শুধু মাত্র আমার গানের কথা আর সুরের জন্য। আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ।

আগামীতে কি কি কাজ আসছে?
আগামীতে বলিউডের একটা গানের ব্যাপারে কথা চলছে। এখনো চুক্তিবদ্ধ হইনি। বলিউডের গান টা শুধু সংগীতায়োজন আমার থাকবে। আমাদের পরিচিত পুরোনো একটি বাংলা সিনেমার গান, গোপনীয়তা থাকুক।