গেরস্তের গরুতে আস্থা ক্রেতাদের; দর নিয়ে চিন্তার ভাঁজ খামারিদের কপালে

গেরস্তের গরুতে আস্থা ক্রেতাদের; দর নিয়ে চিন্তার ভাঁজ খামারিদের কপালে

গেরস্তের গরুতে আস্থা ক্রেতাদের; দর নিয়ে চিন্তার ভাঁজ খামারিদের কপালে
চিন্তার ভাঁজ খামারিদের
প্রস্তুত রয়েছে ২১হাজার ৭শত ২৪টি পশু
চাহিদার চেয়ে বেশি রয়েছে ২৯১টি পশু
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে লাভের গুড় সীমিত
খামারে গেলে দালালের খপ্পরে পরতে হয় না

দেশী গরুর চাহিদা বরাবরের মতোই বেশি রয়েছে ক্রেতাদের মাঝে। আসন্ন পবিত্র কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কুমিল্লার জেলার মুরাদনগর উপজেলায় গরু লালনপালন করে প্রস্তত করেছে খামারিরা। শেষ সময়ে গরু বিক্রির জন্য হাটে তুলতে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত হচ্ছে গরু পালনকারী খামারিদের। ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণে পছন্দসই নাম রেখে গরুগুলো হাটে তুলছে সপ্তাহের বিভিন্ন দিন।

সরেজমিনে উপজেলার কয়েকটি খামার পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, দেশি গরুর অধিকাংশ বিক্রি হয়ে যায় হাটে তুলার পূর্বে। দেশি গরুগুলোর সঠিক প্রক্রিয়ায় লালনপালন করে বড় করে তোলা হয়। মোটাতাজা করতে ঔষধ প্রয়োগ করা হয় না বিধায় ক্রেতাদের আগ্রহ দেশী গরুতে। লালবাবু নামের একটি দেশি জাতের বিশাল আকৃতির গরুর দাম হাঁকছেন সাড়ে ৬লক্ষ টাকা।

ক্রেতারা বলছেন, কোরবানি দেওয়া হয় আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে গরু মোটাতাজা করণের ঔষধ প্রয়োগ করে৷ গেরস্তের গরু নির্ভেজাল। গেরস্তের গরু গুলো আমাদের সামনে বেড়ে উঠে। প্রথমে গেরস্তের বাড়িতে খোঁজ করি গরু। ভালো গরু পেলে এবং দামে বনিবনা হলে হাটে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। হাটে দালাল থাকে, তারা খামারিদের টাকায় ভাগ বসায়। খামারির বাড়ি থেকে কিনলে দালালের খপ্পরে পড়তে হয় না।

গরু ব্যবসায়ী আকবর ও তার সহযোগীরা বলেন, দিনদিন জিনিসপত্রের দাম প্রচুর বাড়ছে। গরু লালনপালন করতে অনেক টাকা খরচ হয় সেইসাথে শ্রম দিতে হয় প্রচুর। আমার খামারে ১৪টি গরু লালনপালন করেছিলাম। হাঁটে তুলার আগে ৯টি বিক্রি হয়ে গেছে। ভারত ও মায়ানমার হয়ে গরু দেশে প্রবেশ করে তাই ক্রেতারা দাম কম বলছে। দেশীয় খামারিদের শ্রমের বিনিময়ে ন্যায্য লভ্যাংশ বৃদ্ধিতে অবৈধভাবে বিদেশি গরু প্রবেশ রোধের অনুরোধ জানান সরকারের নিকট।

উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, আমাদের উপজেলায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত রয়েছে ২১হাজার ৭শত ২৪টি পশু। চাহিদার চেয়ে বেশি রয়েছে ২৯১টি পশু। আশা করছি যারা কোরবানি দিবেন তাদের কোনো ঘাটতি হবে না।

প্রিয়ন্ত মজুমদার, মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ

Website: