নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে হত্যার ঘটনায় মামলার প্রধান আসামী পলাতক মো. হাবিবুর রহমান (২১) র্যাবের অভিযানে গ্রেফতার হয়েছে।
র্যাব-১১ (সিপিসি-৩) নোয়াখালী ও র্যাব-১ সদর ব্যাটালিয়ন উত্তরা যৌথ গোয়েন্দা অভিযানে মঙ্গলবার রাতে ঢাকার খিলক্ষেত থানাধীন লা মেরিডিয়ান হোটেলের সামনে থেকে হাবিবুর রহমান কে গ্রেফতার করে সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিষয়টি বুধবার দুপুরে নিশ্চিত করেন, র্যাব-১১ (সিপিসি-৩) নোয়াখালী কোম্পানী কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) মো. গোলাম মোর্শেদ।
র্যাব সূত্রে জানা যায়, সোনাইমুড়ীর বজরা ইউনিয়নের রশিদপুর গ্রামের মৃত. মো. মোস্তফার ছেলে মো. হাবিবুর রহমান তাদের প্রতিবেশী দশম শ্রেনীতে পড়–য়া এক স্কুল ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। ঐ ছাত্রী প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করার পর হাবিব বিভিন্ন সময়ে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে ভিকটিম কে নানা ধরনের কু-প্রস্তাব দিতো। বিষয়টি ভিকটিম তার পরিবার কে জানালে পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার হাবিবের পরিবার কে জানালেও হাবিবের পরিবার কোন প্রতিকার মূলক ব্যবস্থা গ্রহন করেনি।
পরবর্তীতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারী ঐ স্কুল ছাত্রী সকালে স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়। বিকেলে স্থানীয় লোকজন বিদ্যালয়ের পাশে স্থানীয় পরিতক্ত্য বাড়ির বাগানে আম গাছের নিচে ঐ ছাত্রীর মরদেহ দেখতে পায়। পরবর্তীতে পুলিশ ও তার পরিবারের লোকজন এসে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। ধারনা করা হয়, আসামী হাবিব তার সহযোগিদের সহায়তায় ভিকটিম কে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের মা সোনাইমুড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। তবে আসামী ১৮ বছরের কম বয়সী হওয়ায় মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে হস্তান্তর হয়।
ধৃত আসামী হাবিব জামিনে বের হয়ে গাঁ ঢাকা দিয়ে র্দীঘদিন থেকে পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। পরবর্তীতে র্যাব-১১ (সিপিসি-৩) নোয়াখালী গোয়েন্দা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসামীর অবস্থান নিশ্চিত হয়ে র্যাব-১ সদর উত্তরা এর সহযোগিতায় যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
