বিদেশের মাটিতে গানের মাধ্যমে দেশের সংস্কৃতি তুলে ধরতে পেরেছি- লায়লা

বিদেশের মাটিতে গানের মাধ্যমে দেশের সংস্কৃতি তুলে ধরতে পেরেছি- লায়লা

বাংলাদেশের জনপ্রিয় ফোক সংগীতশিল্পী সুলতানা ইয়াসমিন লায়লা। তিনি নাটোর জেলার বনপাড়া গ্রামে ২৪ আগস্ট ১৯৯৩ সালের জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২০১২ সালে বিচারকদের সর্বোচ্চ স্কোরে এবং দর্শকদের এসএমএস এর মাধ্যমে ভোট পেয়ে ক্লোজআপ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ২০১৭ সালে ব্যাচেলর অফ মিউজিক এবং ২০১৯ সালে মাস্টার্স অফ মিউজিক সম্পন্ন করেছেন ইউনিভার্সিটি অফ ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ (ইউডা) থেকে। তার সংগীত ভূবনের ব্যস্ততা ও কাজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন বর্তমান আলোর সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রিফাত রাহুল খাঁন

আমেরিকায় কেন?
আমি সম্প্রতি বেশকিছু শো’তে অংশগ্রহণ এর জন্য আমেরিকায় এসেছি। আনন্দমেলা, ঢালিউড ফিল্ম এন্ড মিউজিক অ্যাওয়ার্ড, বাংলাদেশ কনভেনশন, বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল -২০২৪, ৩৮ তম ফোবানা কনভেনশন, এই চারটি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেছি। প্রোগ্রামগুলো নিউইয়র্ক, মেশিগ্যান, লস অ্যাঞ্জেলস, নিউজার্সি, বাফ্যালো এমন বেশকিছু জায়গায় হয়েছে।

আমেরিকায় লোকগানের শ্রোতা কেমন?
একজন লোকগানের শিল্পী হিসেবে আমার মনে হয় আমেরিকাতে লোকগানের শ্রোতা অনেক। আমেরিকার বাঙালিরা লোকগান তাদের অন্তরে ধারণ করে। তারা লোকগান মনোমুগ্ধ হয়ে শুনে।

অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
যতক্ষণ স্টেজে গান করি বাংলাদেশ আর আমেরিকার মধ্যে পার্থক্য খুঁজে পাই না। এছাড়া এই আয়োজনের মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম যারা আমেরিকাতে গড়ে উঠেছে তারা আমাদের বাঙালী সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পেরেছে। বিদেশের মাটিতে গানের মাধ্যমে দেশের সংস্কৃতি তুলে ধরতে পেরেছি।

লোকগান নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?
লোকগান মাটি ও মায়ের গান। আর এ গান আত্মা দিয়ে গাইতে চেষ্টা করছি বরাবরের মতই। যতদিন বেঁচে থাকবো লোকগানকে এভাবেই বুকে ধারণ করে রাখতে চাই এবং বাংলা লোকগানকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই।

আপনার জনপ্রিয় গান?
‘সখি গো আমার মন ভালা না’, ’মন পাখি’, নয়া বাড়ি’, ’অন্তরেতে দাগ লাগাইয়া’, ’আমার বন্ধুর মন ভালা না’, ’এক খান পান চাইলাম পান দিলা না’, ’আপন মানুষ চেনা বড় দায়’, ’তুমি মানো আর না মানো’, ’ঐ পাড়েতে বন্ধুর বাড়ি’ সহ প্রমুখ।