হাবিপ্রবি’র শরীর চর্চা ও শিক্ষা শাখার নতুন পরিচালক অধ্যাপক ড. আলমগীর

হাবিপ্রবি'র শরীর চর্চা ও শিক্ষা শাখার নতুন পরিচালক অধ্যাপক ড.  আলমগীর

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শরীর চর্চা ও শিক্ষা শাখার নতুন পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন।

 বুধবার (২৬ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক  ড. মো. সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে অধ্যাপক ড.মো. মাহাবুব হোসেনের স্থলে অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেনকে  শরীর চর্চা ও শিক্ষা শাখার পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে।

নতুন দায়িত্ব পেয়ে ড. মো. আলমগীর হোসেন বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ এবং মাননীয় ভিসি মহোদয়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার প্রতি আগ্রহী করতে কাজ করবো। ক্রীড়াঙ্গনে হাবিপ্রবির ঐতিহ্য ধরে রেখে উত্তরোত্তর উন্নতি করার প্রচেষ্টা থাকবে এবং শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় ক্রীড়া সামগ্রী বৃদ্ধি করার জন্য সচেষ্ট হবো। আমি আশাবাদী বর্তমান প্রশাসন যেভাবে ক্যাম্পাসে খেলাধুলার জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরীতে সচেষ্ট আছে, আগামীতেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে সচেষ্ট থাকবো।

ন্যাশনাল সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড পেলেন হাবিপ্রবির শিক্ষার্থী রাইজুল ও মোয়াজ্জেম 

ন্যাশনাল সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড পেলেন হাবিপ্রবির শিক্ষার্থী রাইজুল ও মোয়াজ্জেম 

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) দুই শিক্ষার্থী ‘ন্যাশনাল সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন।

শিক্ষার্থীরা হলেন- হাবিপ্রবির রোভার স্কাউট গ্রুপের   রোভারমেট মোয়াজ্জেম হোসেন ও মো. রাইজুল ইসলাম। মোয়াজ্জেম হোসেন  বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং মো. রাইজুল ইসলাম অর্থনীতি  বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী

স্কাউট আন্দোলনের মাধ্যমে মানব কল্যাণে আত্মনিবেদন করে বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, ঝড়-বৃষ্টি, আপদকালীন উদ্ধার, ত্রাণ সামগ্রী সংগ্রহ ও বিতরণ ইত্যাদি কাজে আত্মনিবেদন করায় সাহসী ও গৌরবময় সেবার স্বীকৃতিস্বরুপ প্রদান করা হয়ে থাকে ন্যাশনাল সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড।

ন্যাশনাল সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার অনুভূতি জানিয়ে রাইজুল ইসলাম বলেন, স্কাউট একটি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবামূলক প্রতিষ্ঠান। হাবিপ্রবি  রোভার স্কাউট গ্রুপের সদস্যরা প্রতিনিয়ত সেবামূলক কাজ করে দেশ ও সমাজের সেবা করে চলেছে। তারই ফলশ্রুতিতে এই অর্জন। এই আগ্রহ ধরে রেখে ভবিষ্যতে আরও বেশি বেশি সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখার চেষ্টা করবো। সেইসাথে বাংলাদেশ স্কাউটসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, যারা আমার কাজগুলোকে মূল্যায়ন করেছে।

মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, একজন রোভার হিসেবে মানব সেবায় নিজেকে নিয়জিত করে তার প্রতিদান হিসেবে বাংলাদেশ স্কাউটস কর্তৃক ন্যাশনাল সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড অর্জন করি। যা আমাদের  মানব সেবার মতো মহীয়সী কাজে আরও বেশি উৎসাহিত করবে।

হাবিপ্রবিতে সাসটেইনেবল ফিউচার বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

হাবিপ্রবিতে সাসটেইনেবল ফিউচার বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইডিয়া’র ব্যবস্থাপনায় মাইক্রো-কোর্স অন ইম্প্যাক্ট এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ ইন্যাবলিং সাসটেইনেবল ফিউচার বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে । 

শনিবার (১জুন) বিকেল ৪ টায় হাবিপ্রবির অডিটোরিয়াম-২ এ উক্ত সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। 

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক  ড. এম কামরুজ্জামান, কী-নোট স্পীকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়ান বাংলাদেশের সভাপতি  ও সিআরআই এর সিনিয়র এসোসিয়েট অধ্যাপক মোঃ রশীদুল হাসান এবং অনলাইনে যুক্ত ছিলেন আইডিয়া প্রকল্পের সিনিয়র কনসালটেন্ট এবং অপারেশন স্পেশালিস্ট সিদ্ধার্থ গোস্বামী।এসময় তারা উদ্যোক্তাদের নিয়ে সরকারের বিভিন্ন পলিসি সম্পর্কে  আলোচনা করেন।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন হাবিপ্রবির ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক  ড. মোঃ মাহাবুব হোসেন, এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ক্যারিয়ার অ্যাডভাইজরি সার্ভিস (ক্যাডস) এর পরিচালক অধ্যাপক  ড. এন এইচ এম রুবেল মজুমদার। সঞ্চালনা করেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের সহকারী পরিচালক সহকারী অধ্যাপক মোঃ মিজানুর রহমান। 

কী-নোট স্পীকারের বক্তব্যে ওয়ান বাংলাদেশের সভাপতি  অধ্যাপক  মোঃ রশীদুল হাসান বলেন, বর্তমান যুগে তথ্য প্রযুক্তির বিকল্প নেই। এখনকার যুব সমাজ যদি উদ্যেক্তা হতে পারে তাহলে তারা নিজেদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি অন্যদের কর্মসংস্থান করতে পারবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক   ড. এম কামরুজ্জামান বলেন, আমি বিশ্বাস করি আমাদের শিক্ষার্থীরা একদিন দক্ষ গ্র্যাজুয়েট হিসেবে বের হবে। দিন দিন প্রাইভেট সেক্টর বড় হচ্ছে। সুতরাং প্রাইভেট সেক্টরকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আমাদেরকে ইনোভেশন এবং সৃষ্টিশীলতার প্রতি আগ্রহী হতে হবে। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে দক্ষ উদ্যেক্তা তৈরি করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন এবং কাজকে সহযোগিতা করার জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় আমাদের  নতুন নতুন ইনোভেশন এবং ধারণা দিচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ইউনিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আশা রাখছি আমাদের শিক্ষার্থীরা নিজেদের আইডিয়া একে অপরের সাথে শেয়ার করবে এবং ইউনিক আইডিয়া ডেভলপ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের কাজে সহযোগিতা করবে এবং অংশগ্রহণ করবে। পরিশেষে তিনি উপস্থিত সকলকে এবং আয়োজন সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

হাবিপ্রবিতে পক্ষকালব্যাপী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা উৎসবের উদ্বোধন

হাবিপ্রবিতে পক্ষকালব্যাপী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা উৎসবের উদ্বোধন

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাংলা সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক চর্চা বৃদ্ধি করতে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) রবীন্দ্র -নজরুল জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত হয়েছে পক্ষকালব্যাপী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা উৎসব ২০২৪

বৃহস্পতিবার (১৬ই মে ২০২৪) বিকাল ৪:৩০ এ প্রতিযোগিতা উৎসব টি বিশ্ববিদ্যালয় অডিটোরিয়াম -১ এ অনুষ্ঠিত হয়েছে ৷ 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে  উপস্থিত ছিলেন  হাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক  ড. এম. কামরুজ্জামান৷ বিশেষ অতিথি হিসেবে  উপস্থিত ছিলেন  ছাত্র- পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহাবুব হোসেন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মামুনুর রশীদ, আইকিউএসির পরিচালক অধ্যাপক ড. বিকাশ চন্দ্র সরকার

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অনুষদের ডিন,বিভাগের চেয়ারম্যান,  হলসুপারগন ও  বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা।  অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন পক্ষকাল ব্যাপী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা উৎসব উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. শ্রীপতি সিকদার। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের সহকারী পরিচালক সহকারী অধ্যাপক  শেখ মো. সহিদ উজ জামান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানটির শুভ উদ্বোধন করেন হাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড.  এম. কামরুজ্জামান। এসময় তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেমেয়েদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সৃজনশীলতা প্রকাশের সক্ষমতা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের পারদর্শিতা চিহ্নিত করে এই চর্চায় যেনো তারা আরও বেশি করে উৎসাহিত হতে পারে এবং বিভিন্ন সৃজনশীল ক্ষেত্রে তারা তাদের সক্ষমতা জানান দিতে পারে তা নিশ্চিত করা। সেজন্যই আমাদের এ আয়োজন”

তিনি আরও বলেন, “২০২২ সালে তৎকালীন মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি এই উৎসবের উদ্বোধন ঘোষণা করেছিলেন। তারপর থেকে প্রতিবছর আমরা এই উৎসব পালন করছি এবং ভবিষ্যতেও এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। আমাদের উদ্দেশ্য সুন্দর একটি সাংস্কৃতিক আবহ তৈরি করা। এই আবহ তৈরির মাধ্যমেই আমরা অবদান রাখবো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নে।”

হাবিপ্রবিতে ফ্রি ভেটেরিনারি মেডিকেল ক্যাম্প; ৫২৭ টি প্রাণীকে চিকিৎসাসেবা প্রদান

হাবিপ্রবিতে ফ্রি ভেটেরিনারি মেডিকেল ক্যাম্প; ৫২৭ টি প্রাণীকে চিকিৎসাসেবা প্রদান

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ভেটেরিনারি টিচিং হাসপাতালের আয়োজনে ভ্রাম্যমাণ ভেটেরিনারি ক্লিনিক এর মাধ্যমে দিনাজপুর সদরের কর্ণাই এলাকায় ফ্রি ভেটেরিনারি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১০ মার্চ (রবিবার) দিনাজপুর সদরের কর্নাই এলাকায় অবস্থিত কর্নাই আদর্শ দাখিল মাদ্রাসায় সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এই ফ্রি ভেটেরিনারি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে গবাদি প্রাণীর ফ্রি চিকিৎসা, স্বাস্থ্যসেবা পরামর্শ প্রদান এবং কৃমিমুক্তকরণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি বিনামূল্যে কৃষকদের গবাদি প্রাণীর জন্য রুচিবর্ধক ওষুধ, ভিটামিন ট্যাবলেট ও ইনজেকশন স্যালাইন প্রদান করা হয়। এ সময় ৯০ টি গরু, ২২৯ টি ছাগল, ২০৪ টি মুরগী ও ৪ টি হাঁসসহ ৫২৭ টি প্রাণীকে চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হয়। 

ভেটেরিনারি টিচিং হাসপাতাল কর্তৃক আয়োজিত এই ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন হাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম কামরুজ্জামান। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন হাবিপ্রবি ভেটেরিনারি টিচিং হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ড. এস. এম. হারুন-উর-রশীদ, ভেটেরিনারি টিচিং হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব  ভেটেরিনারি সার্জন (দায়িত্বপ্রাপ্ত) ডা. মো. হান্নান আলী। এ ছাড়াও ক্যাম্প চলাকালীন সময় উপস্থিত ছিলেন মেডিসিন সার্জারি অ্যান্ড অবস্টেট্রিকস বিভাগের অধ্যাপক  ডা. মো. ফারুক ইসলাম, প্যাথোলজি অ্যান্ড প্যারাসাইটোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. গোলাম আযম, মেডিসিন সার্জারি অ্যান্ড অবস্টেট্রিকস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. ইসমাইল হোসেনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিম্যাল সায়েন্স অনুষদের শেষ দুই বর্ষের শিক্ষার্থীরা। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি টিচিং হাসপাতাল ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিম্যাল সায়েন্স অনুষদের ছাত্রছাত্রীদের চিকিৎসাবিষয়ক হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের পাশাপাশি জনসাধারণের সব ধরনের গবাদি প্রাণীর সুচিকিৎসা প্রদান করে থাকে। এ ছাড়াও রয়েছে ভ্রাম্যমাণ ভেটেরিনারি ক্লিনিক, যেটি সরাসরি মাঠে গিয়ে গ্রামপর্যায়ে প্রান্তিক কৃষকের গবাদি প্রাণীগুলোকে আধুনিক চিকিৎসাসেবা দিয়ে থাকে।

হাবিপ্রবি মজার ইস্কুলের নেতৃত্বে মেহেদী-কান্তা

হাবিপ্রবি মজার ইস্কুলের নেতৃত্বে মেহেদী-কান্তা

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত ‘হাবিপ্রবি মজার ইস্কুল’ এর ২০২৩-২০২৪ সেশনের জন্য নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন কমিটির সভাপতি হিসেবে মনোনীত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯তম ব্যাচের কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান শাকিল এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন একই ব্যাচ ও অনুষদের শিক্ষার্থী কান্তা ইসলাম।

রবিবার ( ৩ মার্চ) ‘হাবিপ্রবি মজার ইস্কুল’ এর সদ্য সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান ও সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ রুহুল আমিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে হাবিপ্রবির উদ্যানতত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র হালদারকে প্রধান উপদেষ্টা করে ‘হাবিপ্রবি মজার ইস্কুল’ এর ১৬ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটিকে আগামী ১ বছরের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়।

১৬ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি মেহেদী হাসান শাকিল, সহ-সভাপতি আতিকুজ্জামান, বাসমা জাহান মুমু , মোঃ তানভির আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক কান্তা ইসলাম, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, আজমাতুজ জাহান জান্নাতি, তুষার চন্দ্ৰ রায়,কোষাধ্যক্ষ কামনা রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিবুল হাসান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সাফিন ইনতিসার, মোঃ খালিদ হাসান, সৈকত বিশ্বাস, আয়শা বিনতে আনোয়ার, প্রচার ও প্রচারণা সম্পাদক শুভ কুমার ঘোষ, দপ্তর সম্পাদক রাকিবুল হাসান নিরব নিৰ্বাচিত হয়েছে।

নতুন দায়িত্ব গ্ৰহণের পর হাবিপ্রবি মজার ইস্কুলের সভাপতি মেহেদী হাসান শাকিল বলেন,” সিনিয়রদের রেখে যাওয়া সংগঠন আগলে রাখার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে চাই । সকলকে পাশে চাই ।”

নবগঠিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক কান্তা ইসলাম বলেন,” ইস্কুলের শিশুরা আমাদের ভবিষ্যত। ওদের রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সবার৷। আমরা আমাদের জায়গা থেকে সর্বোচ্চটা দেওয়া চেষ্টা করে যাচ্ছি, সকলের সহযোগীতা পেলে ইনশাআল্লাহ আগামীতে আমাদের HSTU মজার ইস্কুলকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব ইনশাআল্লাহ।”

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে ‘নিরক্ষরমুক্ত দেশ গড়া, মজার ছলে শেখাবো মোরা’ এই প্রত্যয়কে সামনে রেখে হাবিপ্রবির সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে হাবিপ্রবি মজার ইস্কুল। প্রথম শ্রেণি থেকে শুরু করে নবম শ্রেণি পর্যন্ত নিয়মিত ১২০ জনেরও উপরে ছেলেমেয়ে বিনা পয়সায় পড়াশোনা করতে পারে এই মজার স্কুলে।