আলোকিত মানুষ গড়তে আলো ছড়াচ্ছেন কামরুজ্জামান সরকার

আলোকিত মানুষ গড়তে আলো ছড়াচ্ছেন কামরুজ্জামান সরকার

থাকেন ঢাকায়। অবসর পেলেই গ্রামে ছুটে আসেন তিনি। কারণ তাঁর ধ্যানজ্ঞান শিক্ষার্থীদের ঘিরে। গরিব অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষার উপকরণ বিতরণ ও প্রতিষ্ঠান থেকে ঝড়ে পরা শিক্ষার্থীদের স্কুল মুখি করতে নানা উদ্যোগের কারণে তিনি যেমন অভিভাবক মহলে প্রশংসিত তেমনি উদীয়মান তরুণদের প্রিয় ব্যক্তিত্ব। শুধু শিক্ষার্থীদের ঘিরেই তাঁর কর্মযজ্ঞ নয়, সামাজিক অবকাঠামো ও বাঁশকাইট ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থা ও অবকাঠামোগত দিক থেকেও এনেছেন আমূল পরিবর্তন।

বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে যার এই আলো ছড়ানোর গল্প উঠে আসে তিনি হচ্ছেন, কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার কৃতি সন্তান মো. কামরুজ্জামান সরকার। তিনি উপজেলার ২০ নং পাহাড়পুর ইউনিয়নের পাহাড়পুর (মাঝা পাড়া) গ্রামের মো. জয়নাল আবেদিন সরকারের ছেলে।

ধামঘর,পাহাড়পুর ও বাবুটিপাড়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, ‘২২টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত মুরাদনগর উপজেলার উপর দিয়ে গোমতী নদী প্রবাহিত। নদীটির দক্ষিণে রয়েছে ছয়টি ইউনিয়ন। এই ছয় ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও একটি ডিগ্রি কলেজ রয়েছে। আর এই প্রতিষ্ঠান গুলোর গরিব অসহায় শিক্ষার্থীদের আশার আলো হয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে তাদের পাশে আছেন সহায়ক ভুমিকায় মো. কামরুজ্জামান সরকার। বিশেষ করে এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি পরিক্ষায় যে সকল শিক্ষার্থী অর্থের অভাবে ফরম ফিলাপ করতে পারে না, এই সকল শিক্ষার্থীর দায়িত্ব নিচ্ছেন তিনি। স্কুল কলেজে ভর্তি ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণেও অনন্য ভুমিকা তাঁর।

তারা আরো বলেন, ‘তিনি ঢাকায় চাকুরি করলেও গ্রামে তাঁর মন পরে থাকে। প্রত্যেক শুক্র ও শনিবার তিনি গ্রামের বাড়ি চলে আসেন। গ্রামীণ অবকাঠামো ও সামাজিক কর্মকান্ডেও তার ভূমিকা প্রশংসনীয়।

জানা যায়, ২০২২ সাল থেকে অদ্যাবধি মো. কামরুজ্জামান সরকার বাঁশকাইট ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

কলেজটির বেশ কয়েকজন শিক্ষক বলেন, ‘মো. কামরুজ্জামান সরকার কলেজটির সভাপতি হওয়ার পর থেকে কলেজের আমূল পরিবর্তন ঘটে। শোভাবর্ধন গেইট, নতুন ভবন, ল্যাব, লাইব্রেরি আসবাবপত্র ও শিক্ষার্থীদের বিশুদ্ধ পানি পানের ব্যবস্থাসহ নানা উদ্যোগে সকলের নজর করেছেন তিনি। বিশেষ করে গত ১৭ বছর কলেটির ডিগ্রি শাখার কোড সংগত কারণে স্থগিত ছিল। তিনি সভাপতি হওয়ারপর নিজ উদ্যোগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যাবতীয় শর্ত পূরণ করে ডিগ্রি শাখার কোড ফিরিয়ে আনেন। তাছাড়া প্রতিষ্ঠানটিতে বিভিন্ন সরকারি প্রোগ্রাম যথাযথ ভাবে উদ্‌যাপন, শিক্ষাসফর ও ক্রীড়া অনুষ্ঠান গুলোতে আকর্ষণীয় পুরস্কার শিক্ষার্থীদের মাঝে উৎসাহ ছড়িয়েছে।’

মো. কামরুজ্জামান সরকার একজন সরকারি কর্মকর্তা। পারিবারিক জীবনে তিনি তিন কন্যা সন্তানের জনক। বড় মেয়ে ডাক্তার। মেঝ মেয়ে লন্ডন প্রবাসী। ছোট মেয়ে নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিষয় নিয়ে পড়ছেন।

মুঠোফোনে মো.কামরুজ্জামান সরকারের সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন, নৈতিক দায়িত্ব বোধ থেকে মানুষের জন্য কাজ করে যেতে চাই তা ছাড়া আর কিছু নয়।’