ভাই আমাকে এক প্যাকেট খাবার দেন ভাই! চাটখিলে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ: খাবারের জন্য হাহাকার

ভাই আমাকে এক প্যাকেট খাবার দেন ভাই!

চাটখিলে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ: খাবারের জন্য হাহাকার

নোয়াখালীর চাটখিলে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ত্রানের গাড়ি দেখে ছুঁটে আসছেন ক্ষুর্ধাত মানুষজন। এসময় এক বিধবা নারী হাটু পানি পেরিয়ে এক স্বেচ্ছাসেবী সদস্য কে ইঙ্গিত করে বলেছেন, ভাই আমাকে এক প্যাকেট খাবার দেন ভাই! ঘটনাটি উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের করটখিল গ্রামে। করটখিল-পশ্চিম শ্রী নগর গ্রামের চর্তুরদিকে পানি আর পানি। গ্রামীন সড়কের উপর ৫ ফুটের অধিক পানি। পানিবন্ধী হাজারো মানুষ। এই এলাকায় রাষ্ট্রীয় কোন ত্রাণ সহায়তা না যাওয়ার কারণে স্থানীয়রা নিদারুণ কষ্টে রয়েছে। এখন পর্যন্ত বেশিরভাগ ত্রান উপজেলার আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে দেওয়া হলেও বাড়িতে পানিবন্ধীদের মাঝে কোন ত্রাণ যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

শনিবার বন্যার্তদের মাঝে খাদ্য, জরুরী প্রয়োজনীয় ঔষধ, মোমবাতি সহ বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছে অধিকার কর্মী-স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা লন্ডন প্রবাসী শাহ্ সুফিয়ান ও সমাজ সেবক রেহানা জিলানী এবং সদস্যদের বিশেষ চাঁদায় এসব ত্রাণ বিতরণ করা হয়। বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন সংগঠনের সভাপতি সাংবাদিক রুবেল হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক তারফিনা শাহনাজ রজব। শনিবার সকাল থেকে দিনভর সংগঠনের সদস্যরা উপজেলার বন্যা কবলিত এলাকার অসহায় ও কর্মহীন দরিদ্র পরিবারে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছিয়ে দেয়। ত্রাণ সামগ্রী মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, তেল, লবণ, আলু, মুড়ি, চিনি, চিঁড়া, বিস্কুট, মোমবাতি ও জরুরী প্রয়োজনীয় ঔষধ।

এদিকে ফান্ড ফর রিলিজ নামক একটি সংগঠন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি বিতরণ করেছে। সংগঠনের সদস্য রাহাত গাজী, জিহাদুল ইসলাম জিসান, নাফিস হাসান ভুবন, নিলয়, নাফিস হাসান আপন, জিসান ভুইয়া, মারুপ মাহমুদ, তানবির, রায়হান, মেহেদী, শোভন, আবির তাসিন, শাহাদাত তপদার ও মাহবুবুর রহমান মেজবা ঘরে-ঘরে গিয়ে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছিয়ে দেয়। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন আশ্রয় কেন্দ্রে-কেন্দ্রে রান্না করা ও শুকনো খাবার বিতরণ করছে।

চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ এহসান উদ্দীন জানান, উপজেলার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গুলোর দুর্যোগকালীন কার্যক্রমে তিনি মুগ্ধ। স্বেচ্ছাসেবী সদস্যরা উপজেলা প্রশাসনের সাথে রাত-দিন বন্যার্তদের সহযোগিতা করে আসছে। এসময় তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে যেসব ত্রাণ এসেছে এগুলো বেশিরভাগই আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে দেওয়া হয়েছে। তবুও বেশি সমস্যায় থাকা এলাকায় জরুরীভাবে খাদ্য সামগ্রী পাঠোনোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।